শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ঋষি সুনক এবং লিজ ট্রাস

ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মূল পর্বের লড়াইয়ে ঢুকে পড়লেন ব্রিটেনের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক। প্রথম চার রাউন্ডেই এক প্রকার পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে চূড়ান্ত রাউন্ডে ঋষি পৌঁছবেন। পঞ্চম রাউন্ডের ভোটে ছিটকে গিয়েছেন আর এক মহিলা প্রতিদ্বন্দ্বী পেনি মডান্ট। কনজারভেটিভ বা টোরি এমপিদের মধ্যে ১৩৭টি ভোট পেয়েছেন ঋষি। ১১৩টি ভোট পেয়েছেন লিজ। পেনি ১০৫টি ভোট।
এ পর্যন্ত কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরাই ভোট দিয়েছেন। এবার শুরু হবে মূল লড়াইটা। শুধু হাউস অব কমন্সে নির্বাচিত দলীয় এমপিরা নন, চূড়ান্ত পর্বে কনজারভেটিভ পার্টির প্রায় দেড় লক্ষাধিক সদস্যও ভোট দেবেন। যদিও এখনও নির্দিষ্ট ভাবে সংখ্যাটি কত তা জানা যায়নি। ২০১৯ সালে বরিস জনসনের নির্বাচনের সময় দলের সদস্য সংখ্যা ছিল এক লক্ষ ৬০ হাজার। মনে করা হচ্ছে, এই সংখ্যাটি আরও বেড়েছে।
গত ৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরিস জনসন ইস্তফা দেন। তাঁর ইস্তফা দেওয়ার পরই দলের অন্দরে শুরু হয়ে যায় পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর খোঁজ। মোট সাত জন মনোনয়ন দেন। এর পরই ধাপে ধাপে শুরু হয়ে যায় ছাঁটাই পর্ব। ব্রিটেনের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অথা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ঋষি প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে রয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি রাউন্ডেই যিনি সব থেকে কম ভোট পাবেন তিনি সরে দাঁড়াবেন।
এবার শুরু হবে চূড়ান্ত পর্যায়ের ভোটগ্রহণের প্রক্রিয়া। এই পর্বে ব্যালট পেপার পৌঁছে যাবে কনজারভেটিভ দলের সদস্যদের বাড়ির ঠিকানায়। দলের সদস্যরা সেই ব্যালট পেপারে তাঁদের নিজেদের পছন্দ জানাবেন। ভোটের ফল প্রকাশ হবে ৫ সেপ্টেম্বর। সেদিনই জানা যাবে পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নাম। একদম শেষ পর্যায়ের ভোটে যদি ঋষি জয়ী হন তাহলে তিনিই হবেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটেনের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী।

Skip to content