সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪


ঘর এবং বাইরে, মহিলাদের একসঙ্গে অনেক কিছুই সামলাতে হয়। সংসার, সন্তান, চাকরি— এত কিছুতে নজর দিতে গিয়ে আলাদা করে নিজের যত্ন নেওয়ার সময় থাকে না। এমনকি, অফিস যাওয়ার সময়ও কোনওরকম নাকেমুখে গুঁজে দৌড়তে হয়। তবে হাতে যতই সময় কম থাকুক না কেন, বাইরে নিজেকে একটু না সাজালে মনটা তো খুঁতখুঁত করবেই। তবে সাজগোজ করে পরিপাটি হয়ে থাকব মনে করলেই হয় না, হাতের নখ, ওয়াক্সিং, চুলের যত্ন, শ্যাম্পু ও সিরামের ব্যবহার, হেয়ার কাটিং প্রভৃতি বিষয়ে কীভাবে যত্ন নেওয়া দরকার তার সঠিক পদ্ধতিও জানতে হয়। এই প্রতিবেদনে এরকম কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।
 

নেল ফাইল

নেইল ফাইল করার সময় মনে রাখতে হয় ফাইলারটা নখের ভেতর থেকে বাইরের দিকে যাবে, আপ ডাউন কোনওভাবেই যেন করা না হয়। সেক্ষেত্রে নখ ভেঙে যাবার সম্ভাবনা থাকে।

 

নেলপলিশ

নেলপলিশ লাগাবার সময় ফ্যানের তলায় বসে না লাগানোই ভালো। কারণ এতে নেল পলিশের ক্ষতি হয়। তাছাড়া খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।

 

এন্ডস লক কাটিং

৮০ শতাংশ মানুষের চুল উঠে যাওয়ার সমস্যা শোনাই যায়। কয়েকটা জিনিস মেনে চললে চুল ওঠা বেশ কিছুটা কমে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খুব ছোট্ট ছোট্ট এই জিনিসগুলো জানা না থাকার জন্য চুল ওঠার প্রবণতা আরও বেড়ে যায়। যেমন ভিজে চুল বাঁধা বা আঁচড়ানো যাবে না। টুথ কম্ব ব্যবহার করতে হয়। ছয় সপ্তাহ অন্তর বিশেষ হেয়ারকাট যাকে বলে ‘এন্ডস লক’ কাটিং। এতে চুলের লেন্থ ছোট হয় না। এটার জন্য বিশেষজ্ঞ ‘হেয়ার কাটার’ আছেন।

 

ওয়াক্সিং

হঠাৎ কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়ার ঠিক হল, অথচ হাত-পা বা প্রয়োজনীয় অংশ যেমন পিঠ ইত্যাদি ওয়াক্সিং করার সময় পাওয়া গেল না।
সেক্ষেত্রে ‘ডিপিলেটারি’ পদ্ধতিকে কাজে লাগাতে পারেন। তবে হামেশাই এটা করলে ত্বকের ওপর কালো ছোপ পড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। অনেকের আবার অ্যালার্জি হয়, চুলকোয়, লাল হয়ে যায়। কারও কারও র্যা শও বেরোয়।

 

বেস মেকআপ

যাঁরা মুখে বেস মেকআপ করেন, তাঁদের কানের প্রতিটা অংশ, ঘাড়, গলা, সামনের দিকে এবং পেছনের পিঠ অর্থাৎ এক্সপোজড এরিয়া গুলোতে একইভাবে ব্যবহার না করলে রঙের তারতম্য হয়। দেখতে ভীষণ খারাপ লাগে।

 

শ্যাম্পু

শ্যাম্পু ব্যবহারের ক্ষেত্রে যত্নবান হতে হবে। কোনও একটি শ্যাম্পুকে দেখে ভালো মনে হল আর কিনে ব্যবহার করতে আরম্ভ করলে, এটা করা অনুচিত। সব সময়ে যিনি ব্যবহার করবেন, তাঁর পক্ষে কোনটা নিরাপদ সেটা মাথায় রাখতে হবে। তাই এ বিষয়ে যদি বিস্তারিত না জানা থাকে তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

‘হেয়ার হেলথ কেয়ার’ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী, উপযুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে। বলাই বাহুল্য কন্ডিশনার, মাস্ক, সেরাম, অয়েল সব ক্ষেত্রেই বাড়তি সুরক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো ব্যবহার করলে ভালো। যেমন অসুস্থ হলে বা সুস্থ থাকার জন্য চিকিৎসকের কাছে গিয়ে নিয়মিত হেলথ চেকআপ করান, তেমনি উচিত চুল ও ত্বকের ক্ষেত্রেও।

প্রায়ই আমরা শুনে থাকি, ভুল চিকিৎসায় ক্ষতি হল বা কেউ মারা গেলেন। এর মূল জায়গাটা হল সমস্যা ঠিক মতো চিহ্নিত হয়নি। তাই চিকিৎসাও সেই মতো হয়নি। চুল আর মানুষের শরীরের কোন পার্থক্য নেই, দুটোতেই প্রাণ আছে।

অবহেলায় বা ভুল যত্নের অভাবের কারণে তা ক্ষতিগ্রস্ত হবেই। শ্যাম্পু করা ব্যাপারটা নিছক ছেলে খেলা নয়। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা প্রায় পঞ্চাশ ভাগ মানুষই অবহেলা করেন। চুলের যত্ন সম্পূর্ণ ভাবে বিজ্ঞানসম্মত হওয়া একান্ত প্রয়োজন, না হলে চুলের ক্ষতি অবধারিত।
আরও একটা কথা বলি, একই শ্যাম্পু দিনের পর দিন ব্যবহার করা যায় না। আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে ত্বকের মতো চুলেরও অনেকটাই পরিবর্তন হয়। তাই নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী পরীক্ষা করিয়ে সেই মতো শ্যাম্প ও তার আনুষাঙ্গিক বদলে ফেলতে পারলে ভালো।

সব ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে

লেখিকা শাকম্ভরী বডি অ্যান্ড বিউটি ক্লিনিক-এর প্রধান, যোগাযোগ : ঠিকানা: ২০৩, এপিসি রোড, শ্যামবাজার ফাইভ পয়েন্ট, কলকাতা-৪, মোবাইল: ৯১৬৩৪-১৪৪৪৩, হোয়াটসঅ্যাপ: ৭০০৩৮৯৩৮৮৩

Skip to content