আমাদের হয়তো অনেকেরই জানা নেই আমলকি বহু গুণে সমৃদ্ধ একটি ফল। বাজারে প্রায় সব সময়ই পাওয়া যায়। একঝলকে দেখে নিন আমলকির কী কী উপকারিতা রয়েছে।
বর্জ্য পদার্থকে বার করার পাশাপাশি রক্ত পরিষ্কার রাখে
● আমলকি শরীর থেকে সমস্ত বর্জ্য পদার্থকে বার করে দিতে একেবারে সিদ্ধহস্ত। রক্তও পরিষ্কার রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার।
কোলেস্টেরল ও হাঁপানির সমস্যা
● নিয়মিত আমলকির রস খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার অ্যামিনো অ্যাসিড এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় হৃদপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। এমনকি হাঁপানির সমস্যাও দারুণ উপকারী।
হজম ক্ষমতা
● আমলকি হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেওয়ার জন্য লিভারকেও ভালো রাখে।
পরিপূর্ণ পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ফল
● আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, আয়রন ক্যালসিয়াম, ফসফরাস প্রাকৃতিক উপাদান। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আমলকির রস আমাদের শরীরের জন্য পরিপূর্ণ পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ এক প্রকারের পানীয়।
চুলকে পুষ্টি যোগায়
● অনেকরই হয়তো জানা নেই, আমলকির রসে অ্যামিনো অ্যাসিড ও প্রোটিন থাকায় চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে। চুলকে পুষ্টি যোগায়।
মুখের ভিতরে ঘা
● মুখের ভিতরে ঘা হলেও উপকার পাওয়া যাবে। আবার আমলকি রসের সঙ্গে মিছরি মিশিয়ে গার্গল করলে ফল মিলবে হাতেনাতে।
চোখের ছানি
● অল্প বয়সে চোখের ছানির সমস্যা? ভালো দৃষ্টিশক্তি পেতে আমলকিগুঁড়োর সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে উপকার মিলবে।
বমি পেলে
● হঠাৎ করে বমি পেলে গরম জলের সঙ্গে আমলকির রস মিশিয়ে খেলে ভালো কাজ হবে।
খাওয়ার নিয়ম
● আমলকির রস সকালে খালি পেটে খাওয়া যেতে পারে।
● তবে মনে রাখতে হবে ১০ মিলিগ্রামের বেশি খাওয়া যাবে না।
● আমলকি ভালো করে ধুয়ে নিয়ে রোদে শুকিয়ে খেতে পারেন। এমন জায়গায় শুকতে হবে যাতে ধুলোবালি না পড়ে।
● আবার ছোট ছোট করে কেটে গোলমরিচগুঁড়ো ও নুন মিশিতে রোদে শুকোও খেতে পারেন। ভালো করে শুকিয়ে গেলে কাচের বয়ামে রাখলে অনেক দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।