শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

প্রোস্টেট গ্রন্থি পুরুষদের মূত্রাশয়ের ঠিক নীচে অবস্থিত, যা মূত্রনালির উপরের অংশটিকে ঘিরে থাকে৷ প্রোস্টেটের প্রাথমিক কাজ হল সেমিনাল ফ্লুইড তৈরি করা, যা শুক্রাণুকে পুষ্ট করে এবং পরিবহনে সাহায্য করে। প্রোস্টেট গ্রন্থি হরমোন উৎপাদনেও ভূমিকা রাখে। আবার প্রস্রাব প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। স্ফীত বা বর্ধিত প্রোস্টেট সমস্যা সাধারণত বয়স্ক পুরুষদের মধ্যে দেখা যায়।
 

বেনাইন প্রোস্ট্যাটিক হাইপারপ্লাসিয়া (বিপিএইচ) কী?

বেনাইন প্রোস্ট্যাটিক হাইপারপ্লাসিয়া (বিপিএইচ), যাকে প্রোস্টেট বর্ধিতও বলা হয়। এতে প্রোস্টেট গ্রন্থি আকারে বেড়ে যায় যা একটি ক্যানসার বিহীন এ প্রকার বৃদ্ধি।
প্রোস্টেটের বৃদ্ধির ফলে এটি মূত্রনালিতে চাপ দেয় যার ফলে মূত্রাশয় থেকে প্রস্রাব বের করা কঠিন হয়।
 

কাদের বিপিএইচ-এর সমস্যা হয়?

বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০৫ মিলিয়ন পুরুষ বিপিএইচ-এ আক্রান্ত হন। প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড সাধারণত পুরুষ মানুষের ৪০ বছর বয়সের পরে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং ৫০ বাঁ তার বেশি বয়সি পুরুষদের প্রায় অর্ধেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়। ৮০ বছর বয়সের পর প্রায় ৯০ শতাংশ পুরুষ আক্রান্ত হয়।
 

বিপিএইচ-এর উপসর্গ

ঘন ঘন প্রস্রাব করা, প্রস্রাব শুরু করতে সমস্যা।
দুর্বল স্রোত, বা ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব নির্গত হওয়া।
প্রস্রাব করতে অক্ষমতা।
মূত্রাশয়ের নিয়ন্ত্রণ হারানো।
প্রস্রাব করার সময় ব্যথা অনুভব করা ইত্যাদি।
মূত্রনালীর সংক্রমণ।
মূত্রাশয়ে পাথর।
কিডনি সমস্যা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

 

কী কী হোমিওপ্যাথি ওষুধ প্রোস্ট্যাটিক হাইপারপ্লাসিয়ার ভালো কাজ করে?

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা রোগের লক্ষণ সাদৃশ্যের উপর ভিত্তি করে রোগীর উপর প্রয়োগ করা হয়। এক একটি ওষুধ এক এক জন রোগীর উপর ভালো কাজ করে। তবে কিছু ওষুধ খুব নিয়মিতভাবে এই রোগে ব্যবহার করা হয় যা রোগের লক্ষণ কমাতে ও গ্ল্যান্ডের আকার কমাতে খুব কার্যকর৷
শাবাশ সেরুলাটা
চিমাফাইলা
কোনিয়াম ম্যাকুলেটাম
থুজা
ফেরাম পিক্রিকাম, বেরাইটা কার্ব ইত্যাদি।
 

জীবনযাত্রা

তবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করলে হবে না সেই সঙ্গে অবশ্যই জীবনযাত্রার কিছু কিছু পরিবর্তন খুব আবশ্যক। যেমন—
নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে।
ঘুমানোর আগে পানীয় জল বা তরল জাতীয় খাবার কম খাওয়া।
অ্যালকোহল এবং ক্যাফেইনের ব্যবহার পরিমিত করতে হবে।
একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুসরণ করা উচিত।

প্রোস্ট্যাটিক হাইপারপ্লাসিয়ার চিকিৎসা এবং পরিচালনা করার সময় লক্ষ্য হল, যতটা সম্ভব জটিলতা প্রতিরোধ করা এবং লক্ষণগুলিকে উপশম করা। প্রোস্ট্যাটিক হাইপারপ্লাসিয়ায় সাধারণত বয়স্ক পুরুষরাই আক্রান্ত হন। খুব খারাপ কিছু পরিস্থিতি না হলে অস্ত্রোপচার করতে হয় না। ক্যানসারা বিহীন প্রোস্ট্যাটিক হাইপারপ্লাসিয়ার লক্ষণ নিরাময়ে এবং গ্ল্যান্ডের আকার কমিয়ে রোগীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে একটি বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা। তবে এর জন্য একজন বিশেষজ্ঞ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷

যোগাযোগ: ৭০০৫৩৫৮৯১৬


Skip to content