ছবি প্রতীকী
সারা বিশ্বের প্রতি ১০০ জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ জন মানুষ ঘুমের সমস্যায় ভোগেন। ঘুম কম হলে মানুষের জীবনের গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায় বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আমরা ঘুম কম হলে মোবাইল ঘাটতে শুরু করে দিই। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী আমাদের ঘুমের ঘাটতি পেছনে অনেকটাই দায়ী সোশ্যাল মিডিয়া। শুধু তাই নয়, ঘুম কম হলে মনঃসংযোগ কমে যায়। মানসিকচাপ বাড়ে। ছোটরা পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে পড়ে। ফলে পরীক্ষায় ফল খারাপ করতে শুরু করে। আর প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে পেশাগত জায়গায় কাজের গুণগত মান খারাপ হতে শুরু হয়। ঘুম কম হলে অনেক সময় নানান রকম মানসিক সমস্যাও দেখা দেয়। মানুষের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হতে আরম্ভ করে। ধৈর্য কমে যায়। মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে থাকে। দিনের পর দিন কম ঘুম হলে কাজের ক্ষিপ্রতা কমে যায়। তবে এ ক্ষেত্রে হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ বেশিরভাগ ‘স্লিপ ডিসঅর্ডার’ চিকিৎসার যোগ্য এবং তা সেরেও যায়। বেশিরভাগ মানুষই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে থাকেন এবং আমাদের বড়দের ক্ষেত্রে আধঘণ্টা না হলেও সাত ঘণ্টা ঘুম অত্যন্ত জরুরি। আর ছোটদের ক্ষেত্রে তার থেকেও বেশি ঘুম হওয়া দরকার। ঘুমের মধ্যেই তাদের ‘গ্রোথ হরমোন’ বেশি নিঃসৃত হয়। তাই বাচ্চারা যদি কম ঘুমোয় তাদের বাড়বাড়ন্ত হয় না। অনেক সময় পেটের গোলমাল, ভাইরাল ইনফেকশন প্রভৃতি অসুখ ভালো করে ঘুমোলে অনেকটা সেরে যায় বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। তাই আট ঘণ্টা ঘুম হলে সুস্থ থাকার পাশাপাশি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার পাশাপাশি মনও ভালো থাকে।