বুধবার ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪


ঐশ্বর্যময়ী অযোধ্যা। তার বৈভব বহিরঙ্গে, অন্তরঙ্গেও। সে অযোধ্যাপুরীর ইন্দ্রতুল্য রাজাধিরাজ ইক্ষ্বাকুবংশীয় দশরথ। জগতে তাঁর পরিচয়, মহর্ষিতুল্য রাজর্ষি। অমিত শক্তির অধিকারী ছিলেন রাজা, কিন্তু শত্রু ছিল না বিশেষ। তাঁর রাজসভা আলো করে ছিলেন আট পরম হিতৈষী অমাত্য। ছিলেন যজ্ঞের অগ্নিশিখার মতো দুই ঋষিশ্রেষ্ঠ পুরোহিত, বশিষ্ঠ ও বামদেব। রাজ্যের মঙ্গল সাধনে সব সময়ই তাঁরা রাজাকে দিয়ে চলেছেন সুপরামর্শ। অশ্বমেধ আর পুত্রেষ্টি যাগের পরে রাজা পুত্র জন্মের অপেক্ষায় অধীর। যজ্ঞের বারোমাস পরে শেষ হল রাজার অপেক্ষা। প্রায় একই সময়ে দশরথের তিন রানীর কোলে জন্ম নিল চার পুত্র।

বাল্মীকিরামায়ণের আদিকাণ্ডের কাহিনী অনুসারে, দশরথের চার পুত্রেরা সকলেই বিষ্ণুর অংশবিশেষ। লঙ্কার অধীশ্বর প্রবল পরাক্রমী রাক্ষসরাজ রাবণ। শাস্ত্রে এবং শস্ত্রে তাঁর অসাধারণ পাণ্ডিত্য। ব্রহ্মার বরে দেবতা, ঋষি, গন্ধর্ব, যক্ষ, রাক্ষস, সরীসৃপ সকলেরই অজেয় তিনি। কিন্তু তাঁর শক্তির দম্ভে, অত্যাচারে দেবতারা পর্যন্ত অস্থির। এ অবস্থা থেকে উদ্ধারের উপায় খুঁজতে দেবতারা সবাই গেলেন ব্রহ্মার কাছে। ব্রহ্মা বললেন, রাবণ চেয়েছিল সকলের অবধ্য হতে। সেই বরই দিয়েছেন তিনি। কিন্তু শুধু মানুষের থেকে বাঁচার কথা সে বলেনি অবজ্ঞাভরে। সেই পথেই আসবে তবে পরিত্রাণ। মানুষেরই বধ্য হবে সে। দেবতাদের অনুরোধে রাবণের অত্যাচারে ত্রস্ত জগতকে পরিত্রাণের ভার নিলেন বিষ্ণু স্বয়ং। পুত্ররূপে মনুষ্যজন্ম নিলেন তিনি রাজা দশরথের ঘরে। কৌশল্যার কোলে বিষ্ণুর অর্ধাংশ হয়ে এলেন রাম, চৈত্রনবমী তিথিতে।

লোকজগতের কল্যাণে রাবণবধের উদ্দেশ্য নিয়ে জন্ম নিলেন তিনি। ধূলোমাটির মর্ত্যজগতে মানুষের দেহ ধরে এলেন দেবতা। লোকজগতের অধিবাসী হয়েও তিনি লোকোত্তর। দেব ও মানবভাব মিলেমিশে তাঁর পূর্ণতা। কৈকেয়ীর কোলে জন্ম নিলেন ভরত আর সুমিত্রার কোলে লক্ষ্মণ, শত্রুঘ্ন দুই ভাই। তাঁরাও বিষ্ণুর অংশভূত। মর্ত্যলোকের সুখ-দুঃখের ভোগে অবতারপুরুষ মানুষ; আবার লোকোত্তর শক্তিতে, ভাবনায়, আচরণে তিনি দেবতা। কেন নরজন্ম তাঁদের? গীতায় কৃষ্ণ বললেন, অবতারপুরুষদের মর্ত্যজগতে আসার তিনটি কারণ- সাধুসজ্জনদের পরিত্রাণ, দুষ্কৃতীদের বিনাশ আর যুগানুসারী ধর্মস্থাপন।

আধুনিক পণ্ডিতেরা অনেকেই বলেছেন, রামায়ণে রামচরিত্রে অবতারত্বের আরোপ পরবর্তীকালের। এ অবতারতত্ত্বের কাহিনী মূল রামায়ণের অংশ নয়, এ হল উত্তরকালের সংযোজন, অতিমানবীয় দেবসত্তা ক্রমশ ঢেকে দিয়েছে রামায়ণের নায়ক চরিত্রের মানবসত্তাকে। এসকল মতামতও সর্বাংশে গ্রহণ করা যায় কিনা সেও তর্কসাপেক্ষ। এ ভারিক্কি যুক্তিতর্কের জাল সরিয়ে বরং অযোধ্যাপুরীর চার শিশু রাজকুমারের সন্ধানে চলি আমরা।

চার কুমারকে পেয়ে যেন উৎসব শুরু হল অযোধ্যায়। যথাসময়ে বেদবিধি মেনে হল তাদের নামকরণ, অন্নপ্রাশন, উপনয়ন। চার ভাইই রূপে গুণে, বিদ্যায়-বুদ্ধিতে অতুলনীয়। যেমন তাঁদের শৌর্য, তেমনই তাঁদের বিনয়। শস্ত্রচালনায় ভারি নিপুণ সকলে। আবার শাস্ত্রজ্ঞানেও পারদর্শী তাঁরা। এমন সব গুণী পুত্র পেয়ে পিতা দশরথের খুশি ধরে না। তবে, এঁদের মধ্যে রাম নিজগুণে ছিলেন রাজার নয়নের মণি, কুলের গৌরব, প্রজাদের হৃদয়ের ধন —‘গুণৈরিবাভিরামঃ স রঞ্জয়ামাস হি প্রজাঃ’— যেমন তাঁর নাম, তেমনই তাঁর কাজ। আচারে ব্যবহারে প্রজাদের মন জয় করে নিয়েছিলেন রাম শিশুবয়সেই। চার ভাই মিলেমিশে বড় হতে লাগলেন। ভেদ-বিদ্বেষ নেই তাঁদের কারোর মধ্যে। তবে ভাইদের মধ্যে লক্ষ্মণ বড়ভাইয়ের ছায়াসঙ্গী। ছোট থেকেই রামের প্রতি তাঁর আনুগত্য আর অচল ভক্তি। আর রামও লক্ষ্মণকে ভালবাসতেন প্রাণের অধিক। লক্ষ্মণ ছিল যেন তাঁর প্রাণের বাইরে রাখা প্রাণখানি। এক টুকরো মিষ্টি ভাইকে না দিয়ে তিনি নিজে খেতেন না, এক মুহূর্ত তাঁকে ছেড়ে থাকতে মন চাইত না তাঁর। আবার ভরতের তেমনই ছিল ভাই শত্রুঘ্নের প্রতি গভীর টান। শৈশব থেকে কৈশোরকালে ক্রমে পা রাখল চার ভাই। বাল্মীকি রামায়ণে শিশু দাশরথিদের নিয়ে উচ্ছ্বাস-আবেগ বড় একটা চোখে পড়ে না। রামের বাল্যলীলা এ মহাকাব্যে উপেক্ষিতই বলা চলে। শিশু রামের রূপ কবি যেন অতি দ্রুত রেখায়, সংক্ষিপ্ত তুলির টানে এঁকেই পৌঁছে দিয়েছেন তাঁকে কৈশোরের রঙ্গভূমিতে। সে বাল্যলীলার অপূর্ণ ছবি রঙে-রসে পূর্ণ করেছেন তুলসীদাস কিংবা কৃত্তিবাসের মতো পরবর্তী কবিরা। দশরথপুত্রেরা মহাকাব্যে পরিপূর্ণ রূপ পেল বয়ঃসন্ধিকাল থেকে।

সদ্য কিশোর তখন রাম লক্ষ্মণেরা। সেদিন রাজসভায় বসেছেন দশরথ। তাঁকে চারদিকে ঘিরে রয়েছেন মন্ত্রী, অমাত্য, পুরোহিত, সভাসদ যত। রাজা বসে ভাবছেন, এবার ছেলেদের বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। এ নিয়ে মন্ত্রণা চলছে মন্ত্রীদের সঙ্গে। রাজার মন বড় প্রফুল্ল আজ। এমন সময় রাজপুরীর সিংহদুয়ারে এসে পৌঁছলেন মহাতপা মুনি বিশ্বামিত্র। তপস্যায় উজ্জ্বল তাঁর দেহাবয়ব। বিশ্বামিত্র ছিলেন ক্ষত্রিয় বীর, ছিলেন কান্যকুব্জের রাজা গাধির পুত্র। অধ্যাত্মসাধনায় শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করে হয়ে উঠেছেন ব্রহ্মর্ষি। দ্বারপালেরা তাঁর নাম শুনেই তটস্থ হয়ে ছুটল রাজাকে খবর দিতে। রাজা নিজে এগিয়ে এলেন অভ্যর্থনা জানাতে, সঙ্গে এলেন মন্ত্রী, পুরোহিত সকলে। একে একে রাজা, রাজপুরোহিত বশিষ্ঠ আর তারপর অন্যান্য সকলে সশ্রদ্ধ অভ্যর্থনা জানালেন বিশ্বামিত্রকে। রাজার সাথে বেশ প্রসন্নমনে রাজভবনে প্রবেশ করলেন তিনি। এমন মহাতেজা ঋষির আকস্মিক আগমনে দশরথও বড় কৃতার্থ, আনন্দিত আজ। এ যেন অমৃত লাভের কিংবা হারানো রত্ন হঠাৎ খুঁজে পাওয়ার পরম আনন্দ। তাঁর মনে হল স্বয়ং পিতামহ ব্রহ্মাই বুঝি এলেন তাঁর পুরদ্বারে। এবার আসার উদ্দেশ্য বিনীত স্বরে জানতে চাইলেন রাজা— ‘কস্তে অভিলষিতঃ কামঃ কিং করোমি প্রশাধি মাম্’- কী আপনার ইচ্ছা, কী করতে পারি আপনার জন্য, বলুন মুনিবর? আপনাকে এভাবে পেয়ে জীবন ধন্য হল আমার। মনে হচ্ছে যেন তীর্থদর্শনের পুণ্য লাভ করলাম আজ। কিছুই অদেয় নেই আজ আপনাকে।’ শ্রদ্ধায়, সম্ভ্রমে কথাগুলি বলে থামলেন দশরথ। ইক্ষ্বাকুকুলপতি রাজার এমন বিনীত নিবেদনে সন্তুষ্ট হলেন বিশ্বামিত্র। ‘এই তো সূর্যবংশীয় রাজশ্রেষ্ঠের উপযুক্ত কথা!’ হৃষ্টমনে বলে উঠলেন ঋষিবর। ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে এল ঋষির অভিপ্রায়।

বিশ্বামিত্র সিদ্ধাশ্রমে যজ্ঞসিদ্ধিকর এক ব্রতের অনুষ্ঠান আরম্ভ করেছেন। এই ব্রতকালে কারও উপর ক্রোধ প্রকাশ সঙ্গত নয়। এদিকে ব্রত-অনুষ্ঠানের সময়ে শুরু হয়েছে যজ্ঞবিনাশকারী দুই রাক্ষসের অত্যাচার। রাক্ষস মারীচ আর সুবাহু, রাবণের দুই আজ্ঞাবাহী। তারা রক্তবন্যা বইয়ে দিচ্ছে যজ্ঞবেদীতে। এ পরিস্থিতিতে প্রতিকারের উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না বিশ্বামিত্র। অনেক ভেবেচিন্তে নিরুপায় ঋষি শরণার্থী হয়ে এসেছেন রাজা দশরথের কাছে। রাক্ষস দমনের জন্য তিনি চাইলেন দশরথের জ্যেষ্ঠপুত্র রামকে। রাম তেজস্বী, অস্ত্রচালনায় নিপুণ, সত্যনিষ্ঠ, স্থিতধী। রাক্ষসদের সঙ্গে যুঝতে পারবে এমন সামর্থ্য রয়েছে তাঁর। তাঁকে দশ দিনের জন্য নিয়ে যেতে চাইলেন ঋষি। রামকে দুর্জয় রাক্ষসদের সঙ্গে লড়াই করার জন্য তেজোবলযুক্ত বিদ্যা দেবেন তিনি। সে বিদ্যায় রাম হয়ে উঠবেন বিশ্বলোকে অজেয়। আশ্বাস দিলেন, কিছুতেই রামের জীবন বিপন্ন হতে দেবেন না তিনি। দশ রাত্রির যজ্ঞ তাঁর। সে সব রাত্রির প্রহরায় থাকবেন অমোঘশক্তি রাম। রাক্ষস দমন করে যশস্বী হয়ে ফিরে আসবেন তিনি। পুত্রের যশে যশস্বী হবেন পিতাও —বলে চলেছেন বিশ্বামিত্র। এদিকে শুনতে শুনতে বুক ভেঙে যাচ্ছে রাজার। এ কী বললেন ঋষিবর! রাম, সে তো রাজার নয়নের মণি, বুকের মাণিক। তাকে ছেড়ে দিতে হবে উন্মত্ত রাক্ষসদের সঙ্গে সম্মুখ সমরে! রাজা চোখে অন্ধকার দেখলেন। পুত্রস্নেহের অতল স্রোতে ভেসে গেল ঋষিকে দেওয়া প্রতিশ্রুত বচন। আসন থেকে পড়ে গেলেন তিনি। তলিয়ে গেলেন সংজ্ঞাহীনতার অন্ধকারে।

কিছু সময় পরে জ্ঞান ফিরলে রাজা ভাবতে বসলেন, কীভাবে, কোন যুক্তিতে ফিরিয়ে দেবেন ঋষির প্রার্থনা। যশের বিনিময়ে আদরের পুত্রের জীবন বিপন্ন হতে দেবেন না তিনি। ক্ষত্রিয়ের ধর্ম পালনের বয়স তো আসেনি তাঁর পুত্রদের। ষোল বছরে এখনও পা রাখেননি রাম, (পাঠভেদে বারো বছর পূর্ণ হয়নি রামের) অস্ত্র চালনা শিখলেও যুদ্ধযোগ্যতা হয়নি তাঁর। এখনই তাঁকে যুদ্ধে পাঠাবেন কী করে? ভয়ংকর ধর্মসংকটে পড়লেন রাজা। একদিকে ঋষিকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি, অন্য দিকে অবুঝ পিতৃস্নেহ। নিষ্ঠুর রাক্ষসদের কথা শুনেছেন তিনি অনেক। তারা মায়াযুদ্ধে পারদর্শী, সংখ্যায় বহু। এমন যমতুল্য শত্রুপক্ষের সামনে প্রাণের ছেলেটিকে কী করে তুলে দেবেন তিনি? এ স্নেহসংকটে আজও ভারী হয় পৃথিবীর বুক। দুর্জয় এক অক্ষৌহিণী সেনা নিয়ে রাজা নিজেই যেতে চাইলেন রাক্ষস দমনে। কাতর প্রার্থনা করলেন ঋষির কাছে— ‘রাম আমার বালক পুত্র, তাকে এভাবে দুর্দান্ত রাক্ষস যোদ্ধাদের সাথে যুদ্ধ করতে দেবেন না। সে যে আমার প্রাণের থেকেও অধিক!’ বড় বিচলিত আজ অযোধ্যাপতি।

পুত্রস্নেহে আকুল হয়ে রাজা উজাড় করে বলে চলেছেন ঋষিকে তাঁর মনের কথা। শুনতে শুনতে এবার ক্রোধে জ্বলে উঠলেন বিশ্বামিত্র। ক্ষত্রিয় রাজা, তায় সূর্যবংশীয় রাজর্ষি— তাঁর মধ্যে পুত্রের প্রতি এমন দুর্বলতা, এত আবেগ? সত্যভঙ্গের দায়ে তিনি অভিযুক্ত করলেন রাজাকে— ‘পুত্রের জন্য মিথ্যা প্রতিজ্ঞা করে যদি সুখী হতে পারেন রাজা, তবে তাই হন।’ ঋষিবাক্যের আঘাতে যেন কেঁপে উঠল পৃথিবী। কুলপুরোহিত বশিষ্ঠ দেখলেন, সমূহ বিপদ। রাজাকে প্রতিশ্রুতি বাক্য পালনের জন্য মানসিক বল জোগালেন তিনি। পুত্রস্নেহের উর্দ্ধে রাজধর্ম পালনে উদ্ধুদ্ধ করলেন। বিশ্বামিত্রের তপস্যার সামর্থ্য জানতেন বশিষ্ঠ। জানতেন, আশ্চর্য, অলৌকিক সব অস্ত্রের অধিকারী বিশ্বামিত্র। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে রামকে পাঠালে ক্ষতি হবে না রামের, বরং আরও শক্তিধর, যোগ্যতর হয়ে উঠবেন রাম। এ যাত্রা হবে তাঁর অগ্রগতির যাত্রা।

বশিষ্ঠের বাক্যে অনেকটা স্বস্তি পেলেন দশরথ। মন শক্ত করে অন্তঃপুর থেকে ডেকে পাঠালেন রামকে। নবদুর্বাদলশ্যাম নবীন কিশোর এসে দাঁড়ালেন সবার সামনে, সঙ্গে তাঁর ছায়াসঙ্গী লক্ষ্মণও। পাঠকের সঙ্গেও এই প্রথম সাক্ষাৎকার তাঁদের। গুরুজনেরা স্বস্ত্যয়ন, মঙ্গল আচার পালন করে কৌশিক বিশ্বামিত্রের হাতে তুলে দিলেন পুত্রদের। এগিয়ে চললেন ধনুষ্পাণি দুই রাজকুমার। পিছনে পড়ে রইল অযোধ্যা, পড়ে রইল পিতৃহৃদয়ের আশা আর আশঙ্কা।—চলবে

ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
* শাশ্বতী রামায়ণী (Saswati Ramayani – Ramayana) : ড. অমৃতা ঘোষ (Amrita Ghosh) সংস্কৃতের অধ্যাপিকা, আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল মহাবিদ্যালয়। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও সম্পাদিত গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর বেশ কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ।

Skip to content