বাড়িতে সবারই কম বেশি তরমুজ আসছে, কি তাই তো? জমা হচ্ছে তরমুজের খোলা আর জায়গা হচ্ছে ডাস্টবিনে? আর ভুল করবেন না। কারণ এই তরমুজের খোলা দিয়েই রেসিপি সবার সঙ্গে আজ ভাগ করে নেব। কি চোখ কপালে উঠে গেল! বেশ ভালো খেতে কিন্তু। একবার ট্রাই করে দেখুন। আগেকার দিনে থাকত একান্নবর্তি পরিবার, আয়োজনে আড়ম্বর কম, সংসারে কিছুই ফেলা যেত না। একটা গোটা ডিমও চার ভাগ করে খাওয়া হতো আবার চিংড়ির মাথা আর দেহ আলাদা তরকারিতে স্থান পেত, এটা তেমনি ভাগযোগের একটা অনবদ্য রেসিপি।
উপকরণ
● একটা তরমুজের খোলা, চিংড়ির মাথা দেড়শো গ্রাম মতো (যেটুকু চিংড়ি এসেছে সেটার মাথাই আলাদা করে রাখুন), সর্ষে বাটা তিন চামচ, জিরা বাটা এক চামচ, নুন, হলুদ, কাঁচা লঙ্কা চারটে, সরষের তেল, লঙ্কা গুঁড়ো, দু’ চার দানা চিনি, এক চামচ টক দই (টকদই না থাকলেও কাঁচা আম ঘষে দিতে পারেন)।
প্রণালী
● তরমুজের খোলার ডিপ সবুজ অংশটা বাদ দিয়ে পুরু হালকা সবুজ অংশটা চৌকো করে কেটে নুন দিয়ে ভাপিয়ে নিতে হবে। কড়াইতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে মাথাটা নুন, হলুদ দিয়ে হালকা ভেজে তুলে রাখতে হবে। ওই তেলেই সর্ষে বাটা, জিরা বাটা, টকদই, নুন, হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো, চিনি এক পাত্রে মিশিয়ে কড়াইতে দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। তাতে ভাঁপানো তরমুজ খোলা দিয়ে দিন। জল ছাড়বে, একটু টেনে আসলে চিংড়ি আর কাঁচালঙ্কা ছেঁড়া দিয়ে দিন। মাখো মাখো হলে নামিয়ে নিন। .
স্পেশাল রেসিপি বিভাগ
‘খাই খাই’ বিভাগে আপনিও সুস্বাদু রেসিপি পাঠকদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন। রান্নার পদ্ধতি ও উপকরণ সমেত লেখা ইউনিকোড ফরম্যাটে টাইপ করে পাঠাতে হবে ৩০০ শব্দের মধ্যে। লেখার সঙ্গে একটি পাসপোর্ট ছবি ও যোগাযোগের ফোন নম্বর দেবেন। ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com