সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ১২টি দেশে ৯২ জনের শরীরে মাঙ্কিপক্সের অস্থিত্ব পাওয়া গিয়েছে। মাত্র দশ দিনে সাতগুণ বেড়েছে সংক্রমণের হার। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’। এ প্রসঙ্গে ‘হু’-এর বক্তব্য, পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যাচ্ছে। ‘নন-এনডেমিক’ দেশগুলিতে নজরদারি ব্যবস্থা জোরদার করা হলে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস শনাক্ত করা সহজ হবে। সেই সঙ্গে ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে। ইতিমধ্যেই ফ্রান্স, জার্মানি, বেলজিয়াম, ইতালি, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, পর্তুগাল, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও স্পেনে ভাইরাসের অস্থিত্ব পাওয়া গিয়েছে। তবে স্বস্তির খবর হল, এই রোগে এখনও পর্যন্ত কারও মৃত্যু হয়নি। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সহজে মাঙ্কিপক্স মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে না। করোনা ভাইরাসের মতো সংক্রামকও নয় এই ভহাইরাস। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দেশগুলিকে সতর্ক থাকতে বলছে। বিশেষজ্ঞরা এও জানিয়েছেন, এটি এক ধরনের বসন্ত। তাই এর প্রতিকারও তুলনামুলকভাবে সহজ। যদিও মাঙ্কিপক্স বিরল হওয়ায় এই ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসার জন্য সুনির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসাপদ্ধতি এই মুহূর্তে চিকিৎসকদের জানা নেই।
উল্লেখ্য, প্রথম বানরের শরীরে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস সনাক্ত করা হয়েছিল। একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রাথমিকভাবে দেখা গিয়েছে, পুরুষরা নিজেদের মধ্যে যৌনতায় লিপ্ত হলে তাদের মধ্যে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। আফ্রিকার সুদান, বেনিন, গ্যাবন, ঘানা, কঙ্গো, লাইবেরিয়া, নাইজেরিয়া, ক্যামেরুন প্রভৃতি দেশে এর অস্থিত্ব পাওয়া যেত। তাই বিশেষ ধরনের ভাইরাস ঘটিত রোগের জন্যই ‘এনডেমিক’ দেশ হিসেবে এই দেশগুলিকে চিহ্নিত করা হয়।

Skip to content