শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


বিশ্বনাথধাম (ক্রমশ)

বিশ্বনাথ মন্দির এই দশাশ্বমেধ ঘাট দর্শনে আসার আগে বাচ্চা মহারাজ কাঁধে হাত রেখে বলেছিলেন,

—জীবনের দিশাহারা মুহূর্তে সর্বশক্তিমানকে স্মরণ করবে। তিনি কোনও বিশেষ ধর্মের দেবতা বা আরাধ্য নাই-বা হলেন। তিনি নিরাকার ব্রহ্ম হতে পারেন। কিন্তু তিনি এক নিশ্চিন্ত আশ্রয়। যখন আমাদের করার কিছু থাকে না তখন জগদীশ্বরের শরণাগতি ভিন্ন পথ নেই। কোনও কার্যকারণ ছাড়া এ পৃথিবীতে কিছুই ঘটে না। আমাদের জীবনের চতুষ্কোণ নির্ধারিত হয়ে আছে৷

বিনয় মায়ের দিকে তাকায়—তবে কি ঈশ্বর ওদের কোনও বিশেষ কারণে কাশীতে নিয়ে এলেন? বাচ্চা মহারাজ কেন সন্ত কবীরের দোঁহার কথা মনে করিয়ে দিলেন? তবে কি আর সময় নেই? জগদীশ্বর কী চাইছেন?

সন্ধ্যারতি

‘খণ্ডন-ভব-বন্ধন, জগ-বন্দন বন্দি তোমায়।
নিরঞ্জন, নররূপধর, নির্গুণ, গুণময় ।।
মোচন-অঘদূষণ জগভূষণ, চিদ্ঘনকায়।
জ্ঞানাঞ্জন-বিমল-নয়ন বীক্ষণে মোহ যায়।’*

বিনয় কখনও রামকৃষ্ণ মঠ বা মিশনে যায়নি। শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস সম্বন্ধে তার যা ধারণা তা ওই কথামৃত পড়েই। ফড়েপুকুরের বাড়িতে যখন থাকত—তখন গুহবাড়ির কর্তা গিরিজাশঙ্কর গুহকে শোনাতে হত প্রতিদিন একটি করে অধ্যায়। কিন্তু সন্ধ্যারতির সময় বারাণসীর রামকৃষ্ণ অদ্বৈত আশ্রমে এই প্রার্থনা সংগীত শোনার পর বিনয়কান্তি ও বসুন্ধরা যেন সব যন্ত্রণা সব মনঃকষ্ট ভুলে গেল।

মাকে নিয়ে ওই একদিনই বেরিয়েছিল বিনয়—তাও বাচ্চা মহারাজের নির্দেশমতো। তারপর থেকে সকালে-বিকেলে মাকে হাসপাতালে বাবার কাছে নিয়ে গেছে। সন্ধ্যা আরতির সময় মা-ছেলে চলে আসত শ্রীরামকৃষ্ণ মন্দিরে। যতক্ষণ আরতি চলত মা’র দু’চোখ দিয়ে জল গড়াত। বিনয় চেয়ে থাকত ঠাকুর রামকৃষ্ণের সেই দেবকান্তি মূর্তির দিকে। তার মনে পড়ত কথামৃতের পড়া অংশগুলো:

কথামৃততে রয়েছে—শ্রীম ঠাকুরের কাছে জানতে চাইলেন—ঈশ্বরকে কি দর্শন করা যায়?

ঠাকুর বললেন,

‘খুব ব্যাকুল হয়ে কাঁদলে তাকে দেখা যায়। মাগ-ছেলের জন্যে লোকে এক ঘটি কাঁদে। টাকার জন্য লোকে কেঁদে ভাসিয়ে দেয়। কিন্তু ঈশ্বরের জন্য কে কাঁদছে। ডাকার মত ডাকতে হয়… তিনটান একত্র হলে তবে তিনি দেখা দেন। বিষয়ীর বিষয়ের উপর, মায়ের সন্তানের উপর আর সতীর পতির উপর টান। এই তিনটান যদি কারো একসঙ্গে হয়, সেই টানের জোরে ঈশ্বরকে লাভ করতে পারে।… ব্যাকুল হয়ে তাঁকে ডাকা চাই। বিড়ালের ছানা কেবল মিউ মিউ করে মাকে ডাকতে জানে। মা তাকে যেখানে রাখে সেখানেই থাকে—কখনো ঘাসে কখনো মাটির উপর কখনো বা বিছানার উপর রেখে দেয়। তার কষ্ট হলে সে কেবল মিউ মিউ করে ডাকে আর কিছু জানে না। মা যেখানেই থাকুক এই মিউ মিউ শব্দ শুনে এসে পড়ে।’

মা তো এত ব্যাকুল হয়ে কাঁদছে—তবে কি ঈশ্বর কোনও চমৎকার ঘটাবেন! তিনি সাড়া দেবেন আমার মা’র আকুল ডাকে?

বিনয় রোজ বাচ্চা মহারাজের কাছে খুঁটিয়ে জানতে চাইত বাবার শরীরের কথা৷ তিনি কেমন বুঝছেন, বাবার শরীরে কোনও উন্নতি হচ্ছে কিনা—এইসব…

মহারাজ বিনয়কে কোনওদিন মিথ্যা আশ্বাস দেননি—

—দেখো বিনয়! চিকিৎসাশাস্ত্রে যেটাকে উন্নতি বলে—সেটা শ্যামসুন্দরবাবুর ক্ষেত্রে হয়নি। তোমরা আসার পর মানসিক উন্নতি অনেক হয়েছে। আগের চেয়ে অনেকটা ভারমুক্ত উনি। যেটা একজন হার্টের রোগীর জন্য খুবই জরুরি। কিন্তু ওঁর কিডনি ঠিকমতো ফাংশন করছে না। মাঝে মাঝে একটা জ্বর থাকছে। এটা খুব একটা ভালো লক্ষণ নয়। শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে কমতে এরকম একটা অবস্থায় পৌঁছয় যখন শরীরের স্নায়ুতন্ত্র হোঁচট খেতে থাকে। তুমি বলবে ওঁর স্নায়ু তো দিব্যি কাজ করছে। বাবা আমাকে মাকে চিনতে পারলেন, বুঝতে পারলেন। তাবিজের কথা মনে ছিল৷ কত বছর আগে কীভাবে সে মন্দিরে গিয়েছিলেন তাও মনে ছিল। আসলে তোমাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য অনেকটা অস্থির ছিলেন—তাই ওঁর মনের অবচেতনে এই রেফারেন্সগুলো ছিল। কিন্তু অটোনমাস নার্ভাস সিস্টেম—স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র যার ওপর আমার, আমার মনের কোনও কন্ট্রোল নেই—যাকে আমার হাইপোথ্যালামাস চালাচ্ছে—গন্ডগোল সেখানে হচ্ছে। হাইপোথ্যালামাস আমাদের শরীরের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ—ঈশ্বর তাকে এমন একটা জায়গায় সেট করেছেন—যেটা খুব প্রটেক্টেড। ব্রহ্মতালু থেকে ফুটো করলে আর দুই ভুরুর মাঝখানে ফুটো করলে ঠিক যেখানটায় মিলবে—ঠিক সেই জায়গাটায় থাকে হাইপোথ্যালামাস আর তার নীচে পিটুইটারি গ্ল্যান্ড। শরীরের থার্মাল কন্ট্রোল খিদে তেষ্টা ঘুম—এমনকী বেঁচে থাকার এই শ্বাস-প্রশ্বাসও কন্ট্রোল করে ব্রেনের এই অংশ—তোমার আমার হাতে কোনও কন্ট্রোল নেই, সব চাবিকাঠি ওই ওপরওয়ালার হাতে।

বেনারসি

বিনয়রা কাশীতে আসার পর থেকে প্রায় চারটে দিন কেটে গেছে—বোধহয় আমার আর মা’র মনটা একটু হালকা করাতেই—সকালে হাসপাতালে বাবাকে দেখার পর তিনি আমাদের লোক দিয়ে পাঠিয়ে দিলেন সারনাথের বৌদ্ধ মন্দির স্তূপ দেখতে। ফেরত আসার সময় লোকটি বলল বাচ্চা মহারাজ বলেছেন বেনারসি শাড়ি তৈরি দেখিয়ে আনতে। মা বলেছিল যে আমরা বিকেলে ভিজিটিং আওয়ার্সের আগেই হাসপাতালে যেতে চাই। লোকটি বলল কোনও অসুবিধা হবে না। সারনাথ থেকে ফিরতি রাস্তায় রামকৃষ্ণ অদ্বৈত আশ্রমের কাছেই জাতিপুরা। আমাদের আশ্রম থেকে আধ ঘণ্টার রাস্তা। আমরা রাস্তা চিনে একা যেতে পারব না বলে বাচ্চা মহারাজ লোক দিয়ে এই ব্যবস্থা করেছেন। কাছাকাছির মধ্যে জাতিপুরায় বেনারসির তাঁতিরা থাকে—ওখানকার মুরুব্বিরা বাচ্চা মহারাজের খুব ভক্ত।

আলোহীন ছোট ভ্যাপসা ঘরগুলোয় ঠকঠক ঠকাঠক শব্দে তাঁতের মাকু বুকের মধ্যে কখনও সিল্ক কখনও জরিসুতোর গুলি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে ছুটছে। আর বংশপরম্পরায় কিছু মানুষ নিরলস পরিশ্রম করে তৈরি করে চলেছেন, ভারতবর্ষের ঐতিহ্যে মোড়া বেনারসি শাড়ি।

যে শাড়ি একটি মেয়ের জীবনের সব থেকে সেরা দিনটিতে তাকে সবার সেরা করে তোলে—সব থেকে উজ্জ্বল আলোয় ভরিয়ে তোলে সেই শাড়ি তৈরি হচ্ছে প্রায়ান্ধকার একটি ঘরে। অবশ্য জীবনের এ এক অদ্ভুত পরিহাস। যে বই মানুষকে জ্ঞানের আলোকে উদ্ভাসিত করে তা ছাপা হয় অন্ধকারের কালিমাখা একটি প্রেসে। যে স্বর্ণালংকার থেকে উজ্জ্বলতা ঠিকরে পড়ে সেই অলংকার তৈরি হয় অন্ধকারে, একটি প্রদীপের সামনে। শিল্পীর আঁকা যত ছবি উচ্চবিত্তদের ঘরের দেওয়ালে শোভাবর্ধন করে—দ্যুতিময় প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত হয়—তার অধিকাংশ ছবিই আঁকা হয়েছে ছোট্ট অন্ধকার কোনও স্টুডিওতে বা মধ্যবিত্ত কোনও ঘরে। ঘন অন্ধকারই আলোর উৎস।

বিনয়ের সবকিছুই একটু খুঁটিয়ে জানা স্বভাব। জাতিপুরার তাঁতি ঘরেও তেমন একজন পুরনো মানুষকে পেয়ে অনেক অজানা কথা জানতে পারল।

১৪ শতকে মোগল আমলে বেনারসে সোনা রুপোর সুতোতেই জরিকাজের কিংখাবের পোশাক তৈরি হত। যাকে ব্রোকেড বলে। ১৬০৩-এ গুজরাটে দুর্ভিক্ষ হয় তখন সেখানকার তন্তুবায় সম্প্রদায়ের লোক গুজরাট থেকে বারাণসীতে চলে আসেন। এঁরা সিল্কের সুতোর কাজ করতে অভ্যস্ত ছিলেন। এরপর থেকে বারাণসীতে সোনা ও রুপোর সুতোর সঙ্গে সঙ্গে সিল্কের সুতোর প্রচলন শুরু হল। রাজা বাদশাহরা চলে গেলেন—তখন সাধারণ মানুষের জন্য শাড়ির মূল অংশটা সিল্কে বোনা শুরু হল— ঝালর বা আঁচল বা পাড়ে জরিসুতোর কাজ শুরু হল। মধ্যবিত্ত উচ্চবিত্তের নাগালে এল বেনারসি শাড়ি। প্রায় ৫৬০০ সুতো দিয়ে বেনারসি শাড়ি তৈরি হয়। মোটামুটি ১৫ থেকে ৩০ দিন লাগে একটা শাড়ি তৈরি করতে। কমপক্ষে তিনজন মানুষকে পরিশ্রম করতে হয়। ডিজাইন অনুযায়ী সময় আরও বেশি লাগতে পারে।

লোকটি বেনারসির নকশা আর তার জাত নিয়ে আরও কিছু বলতে যাচ্ছিল কিন্তু মা’র ছটফটানির জন্য বিনয়ের শোনা হল না। এখন হাসপাতালে ফিরতে হবে।

সেবাশ্রম

ভিজিটিং আওয়ার্সে গিয়ে দেখা গেল শ্যামসুন্দর ঘুমোচ্ছেন। জানা গেল, দুপুরে হঠাৎ বাবার বুক ধড়ফড়ানি খুব বেড়ে যায়। রক্তচাপ বেড়ে যায়। ডাক্তারেরা সঙ্গে সঙ্গে ওষুধপত্র দিয়ে বাবাকে সুস্থ করে—কিন্তু অদ্ভুত একটা অস্থিরতায় উনি ছটফট করতে থাকেন। ডাক্তাররা তখন ঘুমের ইনজেকশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

বিনয়কান্তি কিছু বুঝতে পারছে না। আর দুদিন পরেই তো তার আর মায়ের আশ্রমে থাকার মেয়াদ শেষ। তাহলে কি বিনয় হাসপাতালের কাছাকাছি একটা বাড়ি দেখে রাখবে। মতামত দেওয়ার অবস্থায় মা এখন নেই। সিদ্ধান্ত যা নেওয়ার বিনয়কেই নিতে হবে।

জীবনের এমন একটা অদ্ভুত সন্ধিক্ষণে এসে পৌঁছেছে বিনয়—এতদিন লক্ষ্য ছিল অন্য৷ মা এত কষ্ট করে তাকে মানুষ করেছে৷ এত বছর ধরে মনের কষ্ট মনের মধ্যে চেপে রেখেছে৷ তাই লক্ষ্য ছিল নিজে সুপ্রতিষ্ঠিত হতে হবে আর মাকে ভালো রাখতে হবে৷ কিন্তু আজ বাবাকে খুঁজে পাওয়ার পর তার মনে হচ্ছে বাবাকে যদি কোনওভাবে সুস্থ করা যেত—বাবাকে তারা যদি কলকাতায় নিয়ে যেতে পারত—তার চেয়ে খুশি আর মা বোধহয় কোনও কিছুতে হত না৷ কিন্তু যদি তা না হয়! তাহলে মা কি আর কোনওদিন সেই খুশি ফিরে পাবে? কী করবে বিনয়? ঈশ্বরের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া আর তো কোনও উপায় নেই৷ কিন্তু তার মন দোটানায় রয়েছে৷ বাবা যদি সুস্থ হবেন বা চিকিৎসায় সাড়া দেবেন তাহলে বাচ্চা মহারাজ তাকে সেরকম আশার কথা শোনান না কেন? সেটা কি তার মনকে তৈরি রাখার জন্যে? মা’র সঙ্গে আর সব কথা বলা যায় শুধু এই কথাগুলো ছাড়া৷ মাও হয়তো আকাশ-পাতাল অনেক কিছু ভাবছে কিন্তু বিনয়কে সেগুলো বলতে পারছে না৷ কখনও কখনও মানুষের জীবনে পরিস্থিতি এমন হয় যখন কাছের মানুষও নিজেকে গুটিয়ে রাখে লুকিয়ে রাখে৷ এমন এক-একটা বিষয় আসে যেটা নিয়ে কেউ একা একাই ভাবতে পারে কিন্তু অন্য কারও সামনে খোলাখুলি কথা বলতে ভয় পায়৷ কী বিচিত্র মানুষের মন! কিন্তু যদি কোনও অঘটন ঘটে যায় সেই পরিণতি মা কী করে সহ্য করবে? —চলবে

* শ্রীরামকৃষ্ণ-আরত্রিক ভজনের অংশবিশেষ উদ্বোধন কার্যালয় প্রকাশিত ‘স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (৬ষ্ঠ খণ্ড)’ থেকে উদ্ধৃত।

সূর্য গেল অস্তাচলে

ছবি: সত্রাগ্নি
পরের পর্ব আগামী রবিবার
মা শোয়নি। ঘর অন্ধকার—মা বিছানায় বসে পাশের খোলা জানলা দিয়ে অন্ধকার আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে। হঠাৎ নজর গেল অফিসের দিক থেকে মন্দির টপকে অতিথিশালায় আসার রাস্তায় কে যেন একটা দ্রুতপদে এগিয়ে আসছে। বিনয় দেখছে—ছেলেটি মুখ তুলে তাঁকে বারান্দায় দেখতে দেখতে গেট দিয়ে ঢুকে এল। সিঁড়িতে পায়ের শব্দ। ছেলেটি কি তাদের কাছেই আসছে?
* বসুন্ধরা এবং (Basundhara Ebong-Novel) : জিৎ সত্রাগ্নি (Jeet Satragni) বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি জগতে এক পরিচিত নাম। দূরদর্শন সংবাদপাঠক, ভাষ্যকার, কাহিনিকার, টেলিভিশন ধারাবাহিক, টেলিছবি ও ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার। উপন্যাস লেখার আগে জিৎ রেডিয়ো নাটক এবং মঞ্চনাটক লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে ‘জিৎ সত্রাগ্নি’র নাট্য সংকলন’, উপন্যাস ‘পূর্বা আসছে’ ও ‘বসুন্ধরা এবং…(১ম খণ্ড)’।

গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম

‘সময় আপডেটস’-এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন৷ বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন৷ ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না৷ গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে৷ ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com


Skip to content