ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।
বৃহস্পতিবার রাত দশটা নাগাদ প্রসব যন্ত্রণা উঠেছিল সুকন্যার। অপারেশনের জন্য তৈরি চিকিৎসক, নার্স সকলেই। কিন্তু অপারেশন শুরু হওয়ার ঠিক আগেই চলে গেল বিদ্যুৎ। এবার কী হবে? আলো কোথায় মিলবে? স্বাভাবিকভাবেই তখন গোটা হাসপাতাল জুড়ে তখন হাঁসফাঁস অবস্থা। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য জেনারেটেরও কোনও ব্যবস্থা নেই। তখন অপারাশেন থিয়েটারের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এমন সময় সেখানে উপস্থিত থাকা ওই প্রসূতির স্বামীকে ওই হাসপাতালের এক নার্স বললেন ‘যান, যতগুলো সম্ভব মোবাইবল ফোন আসুন। এছাড়া আর কোনও উপায় নেই।’ প্রসূতি তখন অপারেশন থিয়েটারের টেবিলে প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন। স্ত্রী-সন্তানের জীবন বিপন্ন দেখে সেইসময় একমুহূর্ত না ভেবে তিনি মোবাইল ফোন জোগাড় করতে শুরু করে দেন। অনেক চেষ্টার পর কয়েকটি মোবাইল ফোন তিনি জোগাড়ও করে ফেলেন। তারপর সেই মোবাইলের টর্চের আলোতেই অপারেশন শুরু হয় এবং জন্ম নেয় এক ফুটফুটে সন্তান। অন্ধ্রপ্রদেশের নারসিপতনমের এনটিআর হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন যাবৎ অন্ধ্রপ্রদেশে বিদ্যুতের ঘাটতি চলছে। যার ফলে দিনের বেশিরভাগ সময়ই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী জোগান দিতে না পারার কারণে ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ ছাঁটার কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর। এর জেরেই স্বাভাবিক জনজীবন থেকে আপৎকালীন পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন যাবৎ অন্ধ্রপ্রদেশে বিদ্যুতের ঘাটতি চলছে। যার ফলে দিনের বেশিরভাগ সময়ই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী জোগান দিতে না পারার কারণে ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ ছাঁটার কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর। এর জেরেই স্বাভাবিক জনজীবন থেকে আপৎকালীন পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়েছে।