শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।

অনেকেরই মাঝেমধ্যে গোড়ালিতে ব্যথা হয়। কখনও সেটা একেবারে পায়ের নীচে, কখনও বা পায়ের পাশে বা একদম গোড়ালির জয়েন্টে ব্যথা হয়। ব্যথা মূলত বোঝা যায় ঘুম থেকে উঠে যখন আমরা মাটিতে পা রাখি তখন। অবশ্য কখনও কখনও অনেকক্ষণ চলার পরও ব্যথা শুরু হয়। আবার অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে কারও কারও ব্যথা অনুভব হয়। এই ধরনের ব্যথা সাধারণত অনেকদিন ধরেই থাকে, কখনও বাড়ে বা কখনও কমে।

ব্যথা হওয়ার সম্ভাব্য কারণ
আমাদের পায়ের নীচে থাকা ‘ফেশিয়া’ কখনও-সখনও ফুলে (ইনফ্লামেশন) যায়। আর সেই কারণেই ব্যথা শুরু হয়। এই সমস্যাকে ‘প্লান্টার ফ্যাসাইটিস’ বলা হয়।

আমাদের পায়ের গোড়ালির ‘আর্চ’ বা গঠন এক একজনের এক এক রকমের হয়। কারও ‘আর্চ’ বেশি হয়, কারও বা কম। অনেকের আবার ‘আর্চ’ই থাকে না, একদম ‘ফ্ল্যাট ফুট’ হয়। যে কারণে মাংসপেশিগুলোতে টান পড়ে আর ব্যথা শুরু হয়।

হাঁটতে গিয়ে কখনও কখনও আমাদের পা মচকে যায়। খেয়াল করে দেখবেন অনেকেরই এই সমস্যা বারবার হতে থাকে। সেকারণে পায়ের ব্যথা দীর্ঘদিন পর্যন্ত ভোগায়। চোট- আঘাত পেলে বা অন্য কোনও কারণে লিগামেন্টের শিথিলতা (লিগামেন্ট ল্যাক্সিটি) কমে গেলেও গোড়ালির ব্যথা হতে পারে।

অনেক সময় আমাদের হিল বোন-এ ‘ক্যালকেনিয়ান স্পার’ অর্থাৎ ছোট হাড় তৈরি হয়। যেটা চলতি বাংলায় আমরা বলি পায়ের হাড় বেড়েছে। এর জন্য গোড়ালিতে ব্যথা হয়। এছাড়া আরও অনেক কারণে ব্যথা হতে পারে। এর জন্য পরীক্ষার প্রয়োজন।
ঘরোয়া উপায়ে উপশম
যাঁদের পায়ের তলায় ব্যথা হয় তাঁরা সম্ভব হলে সব সময় নরম সোলের জুতো পরবেন। শ্যু পরলে ভিতরে সিলিকন জেল সোল দিয়ে পরবেন, ব্যথা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। দিনে অন্তত দু’বার ঠান্ডা গরম সেঁক নিতে হবে। ঠান্ডা এবং গরম জলে পা ডুবিয়ে সেঁক দিলেও উপকার মিলবে। এছাড়া ব্যায়াম তো করতেই হবে। আর খুব বেশি ব্যথা হলে চিকিৎসকের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপিস্ট-এর পরামর্শ নিতে হবে। যাঁদের ‘ক্যালকেনিয়ান স্পার’ আছে তাঁরাও উপরোক্ত পরামর্শগুলো মেনে চললে ফল পেতে পারেন।

পা মচকে ব্যথা হলে তৎক্ষণাৎ বরফ সেঁক নিন। ১৫ মিনিট করে দিনে চারবার নিতে হবে। ব্যথাটা অনেকদিন থেকে গেলে বা হাঁটার সময় লাগলে ‘আঙ্কেল বাইন্ডার’ ব্যবহার করুন। এতে আপনার লিগামেন্টের শিথিলতা (লিগামেন্ট ল্যাক্সিটি) কমে ব্যথা কমাতে অনেকটা সাহায্য করবে। এছাড়াও কিছু ফিজিওথেরাপি ট্রিটমেন্ট ব্যথা উপশমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। এক্ষেত্রে আপনার কী কী করণীয় ফিজিওথেরাপিষ্ট বলে দেবেন।

যাঁদের পায়ের ‘আর্চ’ কম বা ‘ফ্ল্যাট ফুট’ হয়, তাঁদের সেইরকম মাপের জুতো পরার পরামর্শ দেন ফিজিওথেরাপিস্টরা। এতে খুব আরাম হয়।

যোগাযোগ: ৯০৫১৮৪৩৫৩১

Skip to content