মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট
গরম পড়েছে বেশ ভালোভাবেই। আমরা সবাই সেটা বুঝতেও পারছি। বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই সময়টা আরও কিছু বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। এই সময়ে হঠাৎ করে বিভিন্ন সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়, এই সময়ই ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার দাপট বাড়ে৷ ঘরে ঘরে হয় সর্দি-কাশি-জ্বর৷ কখনও আবার ডায়েরিয়া৷ ‘হিট ক্র্যাম্প’ ও ‘হিট স্ট্রোক’-এর শিকারও হয় বহু মানুষ৷ তার সঙ্গে তো রয়েছে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মতন অসুখ। ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্স, ডিহাইড্রেশন, ডায়েরিয়া এসবে বিশেষভাবে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বয়স্কদের।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কী বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে
● চড়া রোদ সর্বদা এড়িয়ে চলতে হবে৷ ছাতা ব্যবহার অবশই জরুরি।
● সুতির হালকা পোশাক পরতে হবে৷ ঘেমে যাওয়া পোশাক ছেড়ে ফেলতে হবে। নতুবা তার থেকে ঠান্ডা লেগে যাবে।
● গরমের মধ্যে বয়স্করা খুব বেশি পরিশ্রমের কাজ করবেন না৷ ঘামের মধ্যে দিয়ে শরীর থেকে লবণ বিশেষ করে সোডিয়াম নির্গত হয়। ফলে ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালেন্স হয়। এর সবচেয়ে বেশি শিকার হন বয়স্করা। তাই সতর্কতা জরুরি। বাইরে গেলে সঙ্গে জল ও ‘ওআরএস’ পাউডার অবশ্যই নিয়ে যেতে হবে।
● অনেকেই তীব্র রোদ থেকে এসে ঠান্ডা পানীয়তে চুমুক দেয়৷ এটা খুব বিপজ্জনক৷ চট করে ঠান্ডা লেগে তার থেকে নিউমোনিয়া পর্যন্ত হতে পারে।
● গরম থেকে হঠাৎ ঠান্ডায় যাওয়া, কিংবা ঠান্ডা থেকে গরমে, কোনওটাই ঠিক নয়৷
● অতিরিক্ত তেল ও মশলাদার খাবার, বাসি খাবার, কাটা ফল এড়িয়ে চলতে হবে৷
● মরশুমি ফল ও সবজি খেতে হবে৷
● গরমে ভালো থাকার অন্যতম চাবিকাঠি হচ্ছে বেশি করে বিশুদ্ধ জল পান করা। তবে উৎস না জেনে কখনওই পানীয় জল পান করবেন না৷
লেখক: কর্ণধার ‘বাঁচবো’, সহ সম্পাদক জেরিয়াট্রিক সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া, পশ্চিমবঙ্গ শাখা৷ উপদেষ্টা, প্রোটেক্ট দ্যা ওয়ারিয়ার্স। যোগাযোগ : ‘বাঁচবো’, ফোন : ৯৯০৩৩৮৮৫৫৬