শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।

যুবক-যুবতীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট সূচনা করা হয় এই প্রকল্পটির। সেই সময় প্রকল্পটির নাম ছিল ‘যুব উৎসাহ প্রকল্প’। তারপর ২০১৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এই প্রকল্পটির নতুন নামকরণ করা হয় ‘যুবশ্রী প্রকল্প’। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শ্রমদপ্তরের অধীনে থাকা কর্মসংস্থান বিভাগ এই যুবশ্রী প্রকল্পটি পরিচালনা করেন।

যুবশ্রী প্রকল্পের উদ্দেশ্য
পশ্চিমবঙ্গের যুবক-যুবতীদের বেকারত্বের হাত থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্যই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে এই পদক্ষেপ। যা আগামী দিনে যুবক-যুবতীদের আলো দেখাবে।

আবেদনের যোগ্যতা
আবেদনকারী ব্যক্তিকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
শুধুমাত্র বেকার যুবক/যুবতী আবেদন করতে পারবেন।
এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংকে নাম নথিভুক্ত থাকলে এই প্রকল্পে আবেদন করা যাবে না।
আবেদনকারী ব্যক্তিকে অবশ্যই অষ্টম শ্রেণি পাশ হতে হবে।
পরিবারের মধ্যে একজন এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনকারী ব্যক্তির বয়স ১৮-৪৫ বছর বয়সের মধ্যে হতে হবে।
রাজ্য সরকারের থেকে যদি কেউ ঋণ গ্রহণ করে থাকেন তাহলে সেই ব্যক্তি আবেদন করতে পারবেন না।

কত টাকা সহায়তা করা হবে
যাঁরা এই প্রকল্পে আবেদন করবেন তাঁর প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে। বার্ষিক ১৮০০০ টাকা দেওয়া হবে।

প্রয়োজনীয় তথ্য
যিনি এই প্রকল্পে আবেদন করবেন সেই ব্যক্তির ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ইনকাম সার্টিফিকেট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ডিটেল, শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র।

অর্থের জোগান হবে কীভাবে
এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য একটি সেন্ট্রাল সেল গঠন করা হয়েছে। সেই সেন্ট্রাল সেল মহকুমা শাসকের কাছ থেকে তথ্য নেয়। এর পর সেই সেল শ্রম দপ্তরের মাধ্যমে অর্থ দপ্তরে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দাবি করেন।

আবেদনের পদ্ধতি
প্রথমে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংকের ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ হলে এই ডকুমেন্টটি প্রিন্ট করুন।
সেই প্রিন্ট করা ডকুমেন্টগুলি নিয়ে ৬০ দিনের মধ্যে এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের অফিসে জমা দিতে হবে।
সেই অফিস থেকে একটি ইউসার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে। সেটি দিয়ে পুনরায় ওয়েবসাইটে লগ ইন করে আবেদন করতে হবে।
আবেদন করার পর যদি আবেদনটি গ্রাহ্য হয় তাহলে আপনার আবেদনটি সফল হবে।

যুবশ্রী প্রকল্পে বাছাই প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক
আবেদনকারী ব্যক্তির সমস্ত কিছু ডকুমেন্ট ভালোভাবে দেখার পরই টাকা প্রদান করা হবে।
জেলাভিত্তিক স্তরে এই বাছাই প্রক্রিয়া করবেন জেলার মহকুমা শাসক। কারা কারা অনুদান পাবেন এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনিই।
কলকাতার আবেদনকারী ব্যক্তিদের ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন করবেন কলকাতার সহকারী ডিরেক্টর।

ফর্ম যে অনুযায়ী জমা পড়বে সেই অনুযায়ী এনরোলমেন্ট করানো হবে। যে সময় আবেদনপত্র জমা দেওয়া হবে সেই সময়ের উপর দাঁড়িয়েই প্রার্থী বাছাই হবে। যদি কোনও ব্যক্তির আবেদনপত্র বাতিল হয়ে যায় তাহলে তার পরে যিনি আছেন তাঁকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বার্ষিক এক লক্ষ যুবক-যুবতীকে এই সহায়তা প্রদান করা হবে।

সহায়তা
এই প্রকল্পের জন্য যদি আরও কিছু জানার প্রয়োজন হয় তাহলে নিকটবর্তী কর্মবিনিয়োগ অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়া ইমেল ও টেলিফোনও করা যাবে।

তথ্য: employmentbankwb.gov.in

Skip to content