রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।

পর্যটন শিল্পের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের নতুন প্রকল্প স্বদেশ দর্শন স্কিম। ২০১৫ সালে ভারত সরকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন। ভারত অভিযান, দক্ষ ভারত, মেক ইন ইন্ডিয়ার মতো এই প্রকল্পটি স্বচ্ছ ভারতের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিকাশের মূল চালিকাশক্তি হল এই সেক্টরের উন্নয়ন।
আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী জায়গাগুলিকে আরও চমকপ্রদ ও সুবিধাজনক করে তুলতে পারলে অনেক বেশি পর্যটক আসবে। পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের সঙ্গে বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠানও গড়ে উঠবে।

প্রকল্পের বিভিন্ন উদ্দেশ্য
দেশের মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা।
পর্যটকরা যাতে আসেন সেই জন্য সার্কিটগুলির উন্নয়ন করা।
পর্যটন শিল্পগুলি যাতে চমকপ্রদ হয়ে ওঠে সেই কারণে এই শিল্পের কাঠামোগত উন্নয়ন।
পর্যটকদের সুবিধার্থে আরও উন্নতমানের পরিষেবা প্রদান।
থিম ভিত্তিক সার্কিটের বিকাশ এবং দেশের সংস্কৃতির পরিচয়কে তুলে ধরা।

ট্যুরিস্ট সার্কিট বলতে কী বোঝায়?
ট্যুরিস্ট সার্কিট বলতে বোঝায় এমন কিছু স্থানের সমষ্টি, স্থানগুলি একই শহরে অবস্থিত নয় এবং এমন কিছুও নয়। অর্থাৎ কোনও পর্যটক একটা স্থানে ভ্রমণ করতে এসে তার আশপাশের পর্যটন জায়গাগুলিতেও ঘুরে আসতে পারে। ট্যুরিস্ট সার্কিট তৈরির উদ্দেশ্যেই এটি।

স্বদেশ দর্শন প্রকল্পের বিভিন্ন সুবিধা
এই প্রকল্পের মাধ্যমে আয়ের উৎস বৃদ্ধি করা।
জনগণকে সচেতন করা জীবনযাত্রার উন্নতমান ও এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য।
বিভিন্ন অঞ্চলগুলিতে জীবিকা নির্বাহের জন্য স্থানীয় শিল্প, হস্তশিল্প, সংস্কৃতি, রান্না প্রভৃতি কাজে নাগরিকদের আগ্রহী করা।
এই স্কিমের মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক বিকাশে নতুন ভূমিকা দেখার জন্য এবং দেশের কল্যাণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার জন্য পর্যটন সম্ভাবনা বৃদ্ধি করা খুবই প্রয়োজন।

বিভিন্ন খুঁটিনাটি
কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্প কেন্দ্রের দ্বারাই পরিচালিত হবে।
যে জমিকে ঘিরে বিতর্ক রয়েছে এমন কোনও জমি ব্যবহার করা যাবে না।
বিভিন্ন রাজ্যে এই প্রকল্প কতটা বাস্তবায়ন হচ্ছে তার জন্য রাজ্যের পক্ষ থেকে মনিটরিং কমিটি নিয়োগ করতে হবে।
প্রকল্প সম্বন্ধে বিস্তারিত জানার জন্য এক্সিকিউটিং এজেন্সির পরামর্শদাতা নিয়োগ করা যায়।

এই প্রকল্পের অনুমোদন
এই প্রকল্প যে কমিটি তদারক করছেন তাঁদের অনুমোদন মিললে অর্থের ব্যবস্থা করা হবে। এই প্রকল্প সঠিকভাবে পরিচালিত করবে সেন্ট্রাল স্যাংশান অ্যান্ড মনিটরিং কমিটি ফর স্যাংশান কোটা। প্রকল্পের খুঁটিনাটি তথ্য জমা দিতে হবে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক
পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য পর্যটন কেন্দ্রগুলি সঠিক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করবে। পর্যটন কেন্দ্রগুলির সামনে বাজার সহ ক্যাফেটেরিয়া বসাতে হবে। এম্পিথিয়েটার নির্মাণ করতে হবে পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য।
পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য ভালো পরিষেবার ব্যবস্থা করা। রেল, বিমান প্রভৃতি সুবিধাগুলির সঠিক উন্নয়ন।
পর্যটন কেন্দ্রের পাশে থাকা স্থানীয় বাসিন্দারা যাতে নিজস্ব দক্ষতা দেখাতে পারেন সেই জন্য এই প্রকল্পের অধীনে স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স করানো হবে।
পর্যটন কেন্দ্রের বিভিন্ন ডকুমেন্ট বিস্তারিতভাবে ডাটাবেসে রাখতে হবে এবং জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেমের ভিত্তিতে সঠিক ব্যবস্থা।
দেশের বিভিন্ন স্থানের ঐতিহ্যবাহী অবকাঠামো যা অনেক পুরোনো হয়ে গিয়েছে সেগুলিকে নবরূপে গড়ে তুলতে হবে। যার ফলে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

তথ্য : https://tourism.gov.in/

Skip to content