ব্যস্ত অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুণ্ডু।
কাজের ব্যস্ততার মাঝে যদি একটা দিনও ছুটি পাওয়া যায় তাহলে কার না ভালো লাগে বলুন। তবে যাঁরা ধারাবাহিকে অভিনয় করেন তাঁদের ক্ষেত্রে হয়তো এই অবসরের সুযোগটা খুব কমই আসে। তাঁদের মধ্যে এমনই এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন সৌমিতৃষা কুণ্ডু। সকলের প্রিয় মিঠাই। বর্তমানে জি বাংলার ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই চরিত্রটি। শুটিংয়ের ব্যস্ততার মাঝে একদিন ছুটি পেলে কী করেন অভিনেত্রী? জেনে নিন।
● অবসর সময় কীভাবে কাটাও?
●● অবসর সময়টাই তেমন পাই না। যখন একদিন ছুটি পাই তখন পরিবারের সঙ্গেই সেই দিনটা কাটাতে বেশি পছন্দ করি। সারাদিন ঘরেই থাকি। রাতে খাবার অর্ডার করে বাবা, মা, আমি তিনজনে খাই কিন্তু বাড়ি থেকে বেরোই না। কোনও রবিবার ছুটি পেলে পরিবারের সঙ্গে শপিংয়ে যাই।
● কী ধরনের শপিং করতে ভালোবাসো?
●● নতুন কালেকশন সংগ্রহ করতে ভালোবাসি। যখনই কোনও নতুন কালেকশন দেখতে পাই নিয়ে নিই। এইভাবে আলমারি ভর্তি হয়ে গেছে। কিন্তু আমি যেহেতু অত পার্টি করি না বা সেরকম কোথাও আমার যাওয়াও থাকে না। তাই সেইসব নতুন কালেকশনগুলো আমার আলমারিতেই সাজানো থাকে।
● সৌমিতৃষার লম্বা চুলের রহস্য কী?
●● লম্বা চুলের কোনও রহস্যই নেই। শুটিংয়ে সবসময় বিনুনি করে থাকি। আলাদা করে সেভাবে চুলের যত্ন নেওয়া হয় না। সাধারণ নারকেল তেলই চুলে ব্যবহার করি। তাও ন’মাসে ছ’মাসে একবার। হয়তো শুটিংয়ে একদিন ছুটি পেয়েছি, মা সেদিন মাথা ভর্তি তেল মাখিয়ে দিল। ব্যস, এর থেকে বেশি কিছুই করি না। তবে শুটিংয়ে এত তেল মাখা চুলে ভালো লাগবে না। তাই এই তেল মাখার পরদিনই আমাকে চুলে পাঁচ থেকে ছ’বার শ্যাম্পু করতে হয়। চুল একদম সিল্কি না হলে আমি সেটে যেতেই পারব না।
● মেকআপের জন্য ব্যাগে কী থাকে সবসময়?
●● আমি সাধারণত হালকা বেস মেকআপ করি। শুটিংয়ের সময়ও হালকা বেস মেকআপই করি, যাতে কান্নার দৃশ্য থাকলে মেকআপ হালকা যদি উঠেও যায়, তাহলেও যেন কোনও সমস্যা না হয়। এছাড়া, মেকআপ না করলে আমার ব্যাগে সানস্ক্রিন, কাজল আর লিপস্টিক সবসময়ই থাকে। মেকআপ না করলে মুখে শুধুমাত্র সানস্ক্রিন মেখে নিয়ে চোখ কাজল ও ঠোঁটে একটু লিপস্টিক দিয়ে দিলেই আমার মেকআপ সম্পূর্ণ হয়ে যায়।
● শরীর ঠিক রাখতে কী কী করো?
●● কিছুই করি না। তবে এবার একটু রোগা হতে হবে। তাই মিষ্টি খাওয়াটা একটু কমিয়েছি। ‘কনে বউ’ ধারাবাহিকে যখন অভিনয় করতাম, সেই সময় জিমে যেতাম। কিন্তু এখন প্রায় অনেকদিন হল জিমে যাওয়া হয় না। এই শুটিংয়ের ব্যস্ততার কারণে শরীর ফিট রাখতে আসলে তেমন কিছুই করা হয় না।
● এখনও পর্যন্ত কতগুলো রিল করেছ?
●● গুনে দেখতে হবে। (হাসি) আমি আসলে ঠিক সোশ্যাল মিডিয়া পার্সন ছিলাম না। ইনস্টাগ্রাম ছিল। কিন্তু তাতে সেভাবে কিছু পোস্ট করা হত না। ফেসবুক আমার ছিলই না। ‘মিঠাই’ ধারাবাহিক শুরু হওয়ার পর জি বাংলাই আমাকে ফেসবুক খুলতে বলে। তখন আমি ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলি। তারপর ইনস্টাগ্রামেও দেখি অনেকে রিল করছে নানা রকম গানে। এই দেখে আমারও মনে হল যে এরকম ভিডিও করি। আর এখন তো রিল করতে ভালোই লাগে।
● লং ড্রাইভ না আড্ডা কোনটা বেশি পছন্দ করো?
●● দুটোই পছন্দের। তবে লং ড্রাইভটা একটু বেশিই পছন্দ করি। লং ড্রাইভে যাওয়া তারপর মাঝরাস্তায় চা খাওয়া। এগুলো খুবই ভালো লাগে।
● বই পড়তে ভালোবাসো?
●● আমি খুব একটা বই পড়তে ভলোবাসি না। তবে আমি যেহেতু ভগবানে বিশ্বাসী, তাই কোনও আধ্যাত্মিক বই হাতের কাছে পেলে সেটা পড়ি।
● সৌমিতৃষা কি মিষ্টি খেতে ভালোবাসে? পছন্দের মিষ্টিগুলোর নাম কী?
●● খুব ভালোবাসে। আর আমার প্রিয় মিষ্টির নাম বলতে গেলে সে লম্বা লিস্ট। প্রিয় মিষ্টির মধ্যে রয়েছে নলেনগুড়ের রসগোল্লা, মাখা সন্দেশ, নলেনগুড়ের গুজিয়া, মিষ্টি দই, কমলাভোগ, সরভাজা, কালোজাম, গুড়ের মনোহরা, মালপোয়া, ক্ষীরকদম। মোটামুটি সবরকম মিষ্টিই চেখে দেখে নিয়েছি।