ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।
শুধুমাত্র সাজলেই নিজেকে সুন্দর করা যাবে না। তার জন্য জানতে হবে সাজার স্টাইল। যেমন, আইশ্যাডো পরার স্টাইল যদি আপনার চোখের শেপের সঙ্গে না মেলে তাহলে চোখদুটোর সৌন্দর্য কখনও ফুটে উঠবে না। তাই এই সূক্ষ্ম বিষয়গুলোর দিকে বেশি খেয়াল রাখতে হবে। আইশ্যাডোর জাদুতে আপনার ক্লান্ত চোখদুটো হয়ে উঠতে পারে একেবারে উজ্জ্বল। সেইজন্যই মেয়েদের মেকআপ বক্সে অত্যন্ত জরুরি একটি সামগ্রী হল আইশ্যাডো। তাই যেকোনও সাজে আইশ্যাডো মাস্ট। আইশ্যাডো পরার স্টাইল হতে হবে চোখের শেপের সঙ্গে মানানসই। তবে আপনি কি জানেন আইশ্যাডো পরার সঠিক পদ্ধতি? না জানলে এক নিমেষে নষ্ট হয়ে যেতে পারে আপনার গোটা সৌন্দর্য। তাই এবার দেখুন চোখের শেপ অনুযায়ী আইশ্যাডো পরার স্টাইল।
বড় চোখ হলে চোখের পাতায় পরুন ন্যুড আইশ্যাডো
● যাঁদের চোখ এমনিতেই বড়। তাঁদের আর আলাদা করে চোখ বড় দেখানোর প্রয়োজন পড়ে না। তাই আই মেকআপ করুন খুবই সাধারণ। যাঁদের চোখ বড় তাঁরা চোখের উপরে পাতায় ন্যুড আইশ্যাডো পরতে পারেন। সেটি ম্যাট শ্যাডো হলেই সবচেয়ে ভালো হয়। চোখে ন্যুড আইশ্যাডো লাগানোর পর কালো পেনসিল লাইনার দিয়ে চোখের রেখা এঁকে স্মাজ করে নিলেই আপনার চোখে একটা স্মোকি এফেক্ট চলে আসবে। যা আপনার চোখকে আরও সুন্দর করে তুলবে সহজেই। এক্ষেত্রে আপনি কালো পেনসিল লাইনারের পরিবর্তে গাঢ় ব্রাউন পেনসিল লাইনারও ব্যবহার করতে পারেন।
আইশ্যাডোর কনট্রাস্ট করে পরুন গোল চোখে
● আপনার চোখ যদি গোলাকৃতি হয়, তা হল চোখের ভিতরের দিকে কোনায় হালকা রঙের আইশ্যাডো পরতে পারেন। তারপর গাঢ় ও হালকার মাঝামাঝি শেডের আইশ্যাডো নিয়ে চোখের উপরে পাতার মাঝের অংশে পরে নিন। এতে দেখবেন চোখে আইশ্যাডোর একটা কনট্রাস্ট তৈরি হয়েছে। এরপর গাঢ় রঙের আইশ্যাডো নিয়ে চোখের বাইরের দিক থেকে চোখের ভাঁজ পর্যন্ত পরুন। তারপর অবশ্যই বাইরের শেডটার সঙ্গে মাঝের শেডটা খুব ভালো করে ব্লেন্ড করবেন। তাহলে দেখবেন আপনার চোখের সৌন্দর্য দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। আর এটা সবসময়ই মনে রাখতে হবে যে, চোখের সৌন্দর্যের উপরও নির্ভর করে আপনার ইউনিক সাজসজ্জা। তাই আই মেকআপটা অনেক ধৈর্য ধরে করাই শ্রেয়।
ক্লোজ-সেট চোখে আইশ্যাডো পরুন মাঝারি শেডের
● যাঁদের দুটো চোখের মাঝে ফাঁকা অংশটা কম থাকে, তাঁদের সেই চোখের গঠনটাকেই ক্লোজ-সেট চোখ বলে। আপনার চোখ যদি এরকম হয় তাহলে প্রথমে আপনি ভ্রুর নীচের হাড়ে আর চোখের ভিতরদিকের কোনায় হাইলাইট লাগান। তারপর মাঝারি শেডের আইশ্যাডো চোখের উপরে পাতায় লাগিয়ে নিন। এবং আইশ্যাডোটা তখনই বাইরের দিকের কোণে একটু টেনে দেবেন। একদম শেষে যেকোনও গাঢ় শেডের আইশ্যাডো নিয়ে চোখের বাইরের দিকের কোণ থেকে চোখের খাঁজ পর্যন্ত লাগিয়ে নিন। তাহলে দেখবেন আপনার চোখ সুন্দরভাবে সেজে উঠেছে। তখন ভিড়ের মাঝে আপনার চোখের সৌন্দর্যই বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।
ওয়াইড-সেট চোখে আইশ্যাডো পরুন দুটো চোখের মাঝে ফাঁকা কম দেখাতে
● যাঁদের দুটো চোখের মাঝে ফাঁকা অংশটা বেশি থাকে, তাঁদের সেই চোখের গঠনটাকেই ওয়াইড-সেট চোখ বলে। এই ধরনের চোখে সাধারণভাবে আইশ্যাডো পরলে দুটো চোখের ফাঁকা অংশটি কম দেখায়। এই ধরনের চোখে আইশ্যাডো পরতে হলে প্রথমে চোখের ভিতরের কোনায় গাঢ় শেডের আইশ্যাডো পরুন, এতে দুটো চোখের ফাঁকা অংশটি কম দেখাবে। এর পরের ধাপে চোখের বাইরের দিকের কোনায় একই রঙের হালকা শেডের শ্যাডো পরুন। তাহলে আপনার চোখ খুব সুন্দর দেখাবে। অর্থাৎ যদি আপনি চোখের ভিতরদিকের কোনায় গাঢ় ব্রাউন শ্যাডো পরেন তাহলে চোখের বাইরের দিকে হালকা ব্রাউন শ্যাডো পরুন। দেখবেন এতে আপনাকে খুবই অ্যাট্রাক্টিভ দেখাবে।
ক্লান্তিমাখা ঢুলুঢুলু চোখকে ঢাকতে একটু অন্যরকমভাবে আইশ্যাডো পরুন
● আপনি যদি খুব ক্লান্ত থাকেন তাহলে আপনার চোখে ঢুলুঢুলু ভাব ধরা পড়বেই। এক্ষেত্রে চোখের ঢুলুঢুলু ভাবটা যাতে বেশি বোঝা না যা, সেইজন্য প্রথমে আপনি ভুরুর ঠিক নীচে অল্প হাইলাইটার লাগিয়ে নিন। এরপর চোখের উপরের পাতায় আইশ্যাডো পরুন। তবে মনে রাখবেন ল্যাশলাইন বেশি ডিফাইন করলে চলবে না। চোখের বাইরের দিকের কোণে পেনসিল আইলাইনার পরে হালকা স্মাজ করে দিতে পারেন। এতে আপনাকে দেখাবে আরও সুন্দর।