ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আবার নতুন করে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। সেই দিন থেকেই ক্যাম্পাসের উপস্থিতির তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উচ্চশিক্ষা দপ্তর থেকে। নির্দেশে বলা হয়েছে, প্রতিদিন ক্যাম্পাসে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং কর্মীদের হাজিরার খতিয়ান বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে উচ্চশিক্ষা দপ্তরে পাঠাতে হবে। এই নির্দেশের প্রতিবাদে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (ওয়েবকুটা) এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি যৌথভাবে চিঠি দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শিক্ষকমহলের একাংশের বক্তব্য, বিদ্যালয়ের মতো কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যায়ে একই সময়ে পঠনপাঠন শুরু হয় না। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে সব শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ অযৌক্তিক। অনেক কলেজের অধ্যক্ষরা সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যে যতটুকু উপস্থিতি পাচ্ছেন সেটাই শিক্ষা দপ্তরকে পাঠিয়ে দিচ্ছেন বলে খবর। সম্প্রতি এই উপস্থিতির হাজিরা সংক্রান্ত নির্দেশ নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি কলেজে বিক্ষোভ হয়েছে। তাই সংগঠনগুলির তরফ থেকে এই হাজিরার নির্দেশ স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।