ছবি সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
ময়দানে আর কোনওদিন বুলডোজারের পায়ের শব্দ শোনা যাবে না। শনিবার সকালে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে প্রয়াত হলেন প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচ সুভাষ ভৌমিক। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই সুগার এবং কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। অসুস্থতা এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছিল যে, সুভাষ ভৌমিককে প্রায় সাড়ে তিন মাস টানা ডায়ালিসিস দিতে হয়েছিল। কিছুদিন আগে বুকে সংক্রমণ নিয়ে একবালপুরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন এই প্রাক্তন ফুটবলার। চলছিল চিকিৎসা। তবে শেষরক্ষা হল না। শনিবার ইহলোকের সব মায়া কাটিয়ে তারাদের দেশে পাড়ি দিলেন ময়দানের ‘বুলডোজার’ সুভাষ ভৌমিক।
সত্তরের দশকে ময়দান কাঁপাতেন এই প্রাক্তন ফুটবলার। পায়ে বল ঠেলে এগোতে থাকলেই প্রতিপক্ষের হৃদযন্ত্রের গতি বেড়ে যেত। তাঁর পায়ের জোরে রীতিমতো কেঁপে উঠত জাল। তাই সেইসময় কলকাতা ময়দান ভালোবেসে এই তুখোড় ফুটবলারের নাম দিয়েছিল ‘বুলডোজার’। এভাবেই তথাকথিত কোনও গডফাদার ছাড়াই ময়দানে প্রায় এক যুগ ধরে রাজত্ব করেছিলেন সুভাষ ভৌমিক। উত্তরবঙ্গের মালদহ থেকে পায়ের জোরে বল মারতে এসেছিলেন এই প্রাক্তন ফুটবলার। খেলোয়াড় হিসাবেও তিনি যেমন ছিলেন তুখোড় তেমনই সেইসময় কোচ হিসাবেও তাঁর জুড়ি মেলা ভার। কোচ হিসাবেও কলকাতাকে একের পর এক গৌরবের মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন সুভাষ ভৌমিক। তাঁর শারীরিক ক্ষমতা, সুযোগসন্ধানী আর ক্ষিপ্রগতি দিয়ে একের পর এক গোল করে গিয়েছেন। লক্ষ্য ছিল একেবারে স্থির। কোচ হিসাবেও তাঁর কোনও তুলনা হয় না। তখনও এই একই রীতি মেনেছেন তিনি। একের পর এক প্রতিভাবান তরুণ বাঙালি ফুটবলারকে তুলে এনেছেন তিনি। ফুটবলে তাঁর দক্ষতা মুগ্ধ করেছিল প্রখ্যাত ফুটবলার পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তাই তিনি সুভাষ ভৌমিককে ভালোবেসে ‘ভোম্বলবাবু’ বলে ডাকতেন।
সুভাষ ভৌমিক কোনওদিনই তাঁর ব্যক্তিগত জীবনকে খেলায় প্রবেশ করতে দেননি। হয়তো, সেই কারণেই অল্প বয়সে ছেলের মৃত্যুও টলাতে পারেনি এই প্রাক্তন ফুটবলারকে। আসলে ফুটবলই ছিল তাঁর জীবনশক্তি। মাত্র ১১ বছর বয়সে কলকাতা ময়দানে ফুটবলার হিসাবে সুভাষ ভৌমিকের অভিষেক হয়। প্রথমে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে যোগ দেন তিনি। সেখানে মাত্র এক সিজিন খেলেই যোগ দেন প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব মোহনবাগানে। সেখানে তিন বছর খেলার পর আবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি। সেখানেও তিন বছর খেলেন এই প্রাক্তন ফুটবলার। তারপর আবার তিনি সুবজ-মেরুনে ফিরে যান। সেখানে আরও তিন বছর খেলার পর ইস্টবেঙ্গল ক্লাব আবারও তাঁকে সই করায়। সেইসময় একবছর ওই দলে খেলেছিলেন সুভাষ ভৌমিক। তারপর ১৯৭৯ সালে একজন ফুটবলারের পদ থেকে অবসর নেন সুভাষ ভৌমিক। ক্লাবে খেলে মোট ২৭টি ট্রফি জিতেছিলেন তিনি। মোহনবাগানকে ১৬টি ট্রফি এনে দিয়েছিলেন এই প্রাক্তন ফুটবলার। সেই সময়ে ইস্টবেঙ্গলও ১১টি ট্রফি জিতেছিল। শুধু তাই নয়, কলকাতা লিগ থেকে শুরু করে আইএফএ শিল্ড, ট্রফির তালিকায় কোনও কিছুই বাদ ছিল না। ফুটবল কেরিয়ারে এক মাত্র ১৯৭৯ সালে কোনও ট্রফি জিততে পারেননি সুভাষ ভৌমিক। তবে আজও ফুটবলপ্রেমীর মনের মণিকোঠায় রয়ে গিয়েছেন তিনি। ময়দানের ‘বুলডোজার’ হিসাবেই তিনি আজীবন বেঁচে থাকবেন প্রত্যেকটি বাঙালির মনে। মালদহ থেকে আসা সুভাষ ভৌমিককে কখনও ভুলবে না কলকাতা ময়দান।
সত্তরের দশকে ময়দান কাঁপাতেন এই প্রাক্তন ফুটবলার। পায়ে বল ঠেলে এগোতে থাকলেই প্রতিপক্ষের হৃদযন্ত্রের গতি বেড়ে যেত। তাঁর পায়ের জোরে রীতিমতো কেঁপে উঠত জাল। তাই সেইসময় কলকাতা ময়দান ভালোবেসে এই তুখোড় ফুটবলারের নাম দিয়েছিল ‘বুলডোজার’। এভাবেই তথাকথিত কোনও গডফাদার ছাড়াই ময়দানে প্রায় এক যুগ ধরে রাজত্ব করেছিলেন সুভাষ ভৌমিক। উত্তরবঙ্গের মালদহ থেকে পায়ের জোরে বল মারতে এসেছিলেন এই প্রাক্তন ফুটবলার। খেলোয়াড় হিসাবেও তিনি যেমন ছিলেন তুখোড় তেমনই সেইসময় কোচ হিসাবেও তাঁর জুড়ি মেলা ভার। কোচ হিসাবেও কলকাতাকে একের পর এক গৌরবের মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন সুভাষ ভৌমিক। তাঁর শারীরিক ক্ষমতা, সুযোগসন্ধানী আর ক্ষিপ্রগতি দিয়ে একের পর এক গোল করে গিয়েছেন। লক্ষ্য ছিল একেবারে স্থির। কোচ হিসাবেও তাঁর কোনও তুলনা হয় না। তখনও এই একই রীতি মেনেছেন তিনি। একের পর এক প্রতিভাবান তরুণ বাঙালি ফুটবলারকে তুলে এনেছেন তিনি। ফুটবলে তাঁর দক্ষতা মুগ্ধ করেছিল প্রখ্যাত ফুটবলার পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তাই তিনি সুভাষ ভৌমিককে ভালোবেসে ‘ভোম্বলবাবু’ বলে ডাকতেন।
সুভাষ ভৌমিক কোনওদিনই তাঁর ব্যক্তিগত জীবনকে খেলায় প্রবেশ করতে দেননি। হয়তো, সেই কারণেই অল্প বয়সে ছেলের মৃত্যুও টলাতে পারেনি এই প্রাক্তন ফুটবলারকে। আসলে ফুটবলই ছিল তাঁর জীবনশক্তি। মাত্র ১১ বছর বয়সে কলকাতা ময়দানে ফুটবলার হিসাবে সুভাষ ভৌমিকের অভিষেক হয়। প্রথমে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে যোগ দেন তিনি। সেখানে মাত্র এক সিজিন খেলেই যোগ দেন প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব মোহনবাগানে। সেখানে তিন বছর খেলার পর আবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি। সেখানেও তিন বছর খেলেন এই প্রাক্তন ফুটবলার। তারপর আবার তিনি সুবজ-মেরুনে ফিরে যান। সেখানে আরও তিন বছর খেলার পর ইস্টবেঙ্গল ক্লাব আবারও তাঁকে সই করায়। সেইসময় একবছর ওই দলে খেলেছিলেন সুভাষ ভৌমিক। তারপর ১৯৭৯ সালে একজন ফুটবলারের পদ থেকে অবসর নেন সুভাষ ভৌমিক। ক্লাবে খেলে মোট ২৭টি ট্রফি জিতেছিলেন তিনি। মোহনবাগানকে ১৬টি ট্রফি এনে দিয়েছিলেন এই প্রাক্তন ফুটবলার। সেই সময়ে ইস্টবেঙ্গলও ১১টি ট্রফি জিতেছিল। শুধু তাই নয়, কলকাতা লিগ থেকে শুরু করে আইএফএ শিল্ড, ট্রফির তালিকায় কোনও কিছুই বাদ ছিল না। ফুটবল কেরিয়ারে এক মাত্র ১৯৭৯ সালে কোনও ট্রফি জিততে পারেননি সুভাষ ভৌমিক। তবে আজও ফুটবলপ্রেমীর মনের মণিকোঠায় রয়ে গিয়েছেন তিনি। ময়দানের ‘বুলডোজার’ হিসাবেই তিনি আজীবন বেঁচে থাকবেন প্রত্যেকটি বাঙালির মনে। মালদহ থেকে আসা সুভাষ ভৌমিককে কখনও ভুলবে না কলকাতা ময়দান।