শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪


সদর স্ট্রিটে হাঁটার পথে প্রি-পুজো খাওয়া-দাওয়া সারতে সাত বন্ধু মিলে চলে এলাম ‘রাজ স্প্যানিশ ক্যাফে’। এখানে স্প্যানিশ বাদেও অনেক রকম খাবার পাওয়া যায়। ইতালিয়ান, গ্রিক, ব্রিটিশ প্রভৃতি দেশের খাবারের বহরে মনে হয় এ যেন ইউরোপ ট্যুরের মেনু কার্ড!
এ বার তাহলে খানাখাজানার পালায় আসা যাক। চিজ প্রেমিক আমরা সকলেই। অতএব দেরি না করে প্রথমেই অর্ডার দেওয়া হল মারগারিটা পিৎজা আর ক্যালজোন। এর সঙ্গেই লাসাগ্না দে পোল্লো আর গার্লিক পাস্তা উইথ ফ্রাইড চিকেন। এক রাউন্দ ফ্রেশ লাইম সোডাও নেওয়া হল—যা অবশ্য মূল খাবার পরিবেশনের আগেই সাবাড় হয়ে গেল।
আরও পড়ুন:

কলকাতার পথ-হেঁশেল, পর্ব-৯: আহা, মরি—কেটেলবেরি

পরিযায়ী মন, পর্ব-১০: চটকপুরের নিরালায়

‘রাজ স্প্যানিশ ক্যাফে’র ব্যাপারে কয়েকটি জিনিস বেশ উল্লেখযোগ্য।
ভিতরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা ছাড়াও রেস্তরাঁর বাইরে খোলা চত্বরে যথেষ্ট বসার জায়গা আছে। ছাইদানি আছে প্রতিটি টেবিলে ধূমপানের জন্যে।
এদের পিৎজা ও ক্যালজোন তৈরি হয় একদম পুরনো আমলের উড ফায়ার ওভেনে।
রেস্তরাঁর দেওয়ালগুলি এখানে খেতে আসা দেশ-বিদেশ-এর বহু খাদ্যরসিক খদ্দেরের নাম এবং তাদের লেখা কথা-কবিতায় সাজানো।
আরও পড়ুন:

হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-২০: অক্টোবর মাসের ষোলো, কী হল! কী হল?

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪২: অ্যান্টিবায়োটিক খেলেই গন্ডগোল?

খাবারের দাম মোটামুটি ২৫০ টাকা থেকে ৩০০টাকার মধ্যে। পানীয় ১০০ টাকা।
ও, হ্যাঁ!
পারলে এদের টিরামিসুটা খেয়ে দেখবেন। দুর্দান্ত যাকে বলে!

লকেশান নিয়ে সমস্যা হওয়ার কথা না। পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্তেশান থেকে বড়জোর দশ মিনিটের হাঁটাপথ। আর নিউ মার্কেটে পুজোর কেনাকাটা করতে এলে ওই মির্জা গালিব স্ট্রিট ধরে হেঁটে গেলে ফায়ার ব্রিগেডের হেড কওয়ারটারস এর ঠিক উলটো দিকের রাস্তা হল সাদার স্ট্রিট। দু-পা এগোলেই ‘রাজ স্প্যানিশ ক্যাফে’।

পুজোর ভিড় কাহিল করে দিলে এখানে আশ্রয় নিতে পারেন আর কী!
* কলকাতার পথ-হেঁশেল (kolkata-street-foods): শ্রুতিদীপ মজুমদার, (Shrutideep Majumder) ভোজনরসিক।

Skip to content