এথেন্সের প্রখ্যাত নাট্যকার এস্কাইলাস।
এথেন্সের প্রখ্যাত নাট্যকার এস্কাইলাস ট্রাজেডি নাটককে শিল্পের পর্যায়ে উন্নীত করেছিলেন। কারও কারও মতে, ৫২৫ আবার কেউ কেউ মনে করেন ৫২৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তাঁর জন্ম। পিতা ইউফোরিয়ন। এথেন্সের প্রধান নাটক প্রতিযোগিতায় একজন উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণকারী ছিলেন এস্কিলাস। ৪৮৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এক বসন্তে তিনি থিয়েটারে তাঁর প্রথম বিজয়লাভ করেন। ৪৯০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তিনি ম্যারাথন যুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেছিলেন।
পার্সিয়ানরা যখন গ্রিস আক্রমণ করেছিল তখন তিনি তাঁর অভিব্যক্তি তুলে ধরেছিলেন তাঁর নাটকে। সেই নাটকটি প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান লাভ করে। তিনি প্রায় ৯০টি নাটক লিখেছেন যার মধ্যে রয়েছে স্যাটার নাটক এবং ট্রাজেডি। এস্কাইলাসের বিশেষ উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল, তাঁর স্টেজ সেটিংস ও স্টেজ মেশিনারির ব্যবহার। কথোপকথন এবং কোরাল লিরিক উভয় ক্ষেত্রেই এস্কাইলাসের ভাষা এবং আবেগের তীব্রতা বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
আরও পড়ুন:
প্রথম আলো, পর্ব-৯: বিশ্বের প্রথম দৈনিক সংবাদপত্রের প্রতিষ্ঠাতা কে?
অনন্ত এক পথ পরিক্রমা, পর্ব-৪২: দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এনে ঈশ্বরে সর্মপণ করলে ভক্তি-মুক্তি দুই-ই লাভ হয়
এস্কাইলাস গ্রিক নাটককে শৈল্পিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক রূপ দিয়েছিলেন। তাঁর নাটকের ট্র্যাজেডি মূলত সেই সব ব্যক্তিদের দুর্দশা এবং ভাগ্য বিড়ম্বনাকেই প্রদর্শন করে, যাদের সঙ্গে রাষ্ট্রের বা সম্প্রদায়ের ভাগ্য নিবিড়ভাবে জড়িত। এস্কাইলাসের ব্যতিক্রমী চিন্তা ভাবনার ক্ষমতা ছিল। ট্রাজেডি রচনার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অসম মৌলিক এবং একক। ৪৫৬ (মতান্তরে ৪৫৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দে) খ্রিস্টপূর্বাব্দে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি ছিলেন পৃথিবীর প্রথম ট্রাজেডি নাটকের নাট্যকার। তাই তাঁকে ট্রাজেডি নাটকের জনক বলা হয়।
* প্রথম আলো: সোমা চক্রবর্তী (Soma Chakrabarti), শিক্ষিকা, নিমতা জীবনতোষ ঘোষ মেমোরিয়াল গার্লস হাইস্কুল (উচ্চ মাধ্যমিক)।