ছবি প্রতীকী। সংগৃহীত।
নিম্নচাপের জেরে প্রবল দুর্যোগ শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে। বাংলার একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলছে। এ দিকে, মেঘভাঙা বৃষ্টিতে সিকিমের পরিস্থিতি ভয়াবহ। ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে তিস্তা। এই পরিস্থিতি এমন যে, আশঙ্কা করা হচ্ছে উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
হাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই বিপর্যয়ের মূলে রয়েছে নিম্নচাপের গতিবিধিতে আচমকা পরিবর্তন। সাগর থেকে নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করেছিল। কিন্তু তার পরেই সে আচমকা পথ পরিবর্তন করে ফেলে। নিম্নচাপটি ফের বাংলায় প্রবেশ করেছে। সেই সঙ্গে নিম্নচাপ অক্ষরেখারও প্রভাবও রয়েছে। এই জোড়া ফলায় রাজ্যের সর্বত্র বৃষ্টি চলছে। কোনও কোনও অংশে লাল সতর্কতাও জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
আরও পড়ুন:
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪০: ব্রণ হয়েছে? তার মানেই কি লিভার খারাপ?
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৭৫: খাল-বিলে কিছু পরিমাণ পুঁটি পাওয়া গেলেও, এখন আর সব কটি প্রজাতির মাছের দেখা মেলে না
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয় গত ৩০ সেপ্টেম্বর। ১ অক্টোবর উত্তর ওড়িশা, দক্ষিণ-পূর্ব ঝাড়খণ্ড এবং বাংলার কাছাকাছি নিম্নচাপটি অবস্থান করছিল। ২ অক্টোবর নিম্নচাপ দক্ষিণ ঝাড়খণ্ডের কাছাকাছি স্থলভাগে শক্তি বৃদ্ধি করে। আবহাওয়াবিদরা মনে করেছিলেন, নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে আরও পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তরপ্রদেশের দিকে চলে যাবে। যদিও ৩ অক্টোবর অচমকা নিম্নচাপটি তার গতিপথ পরিবর্তন করে ফেলে।
আরও পড়ুন:
বিশেষ এক জন অনুরোধ করলে ক্যামেরার সামনেও পোশাক খুলতে রাজি শেহনাজ! তিনি কে?
পুজোর সময়েই আচমকা বন্ধ হতে পারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ! পরিষেবা চালু রাখতে কী করবেন?
আচমকা শক্তিশালী নিম্নচাপ পূর্ব দিকে এগোতে শুরু করে। এই মুহূর্তে গাঙ্গেয় বাংলার পশ্চিম অংশ এবং ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন অঞ্চলে নিম্নচাপটি অবস্থান করছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এর জেরে রাজ্যে আরও ৪৮ ঘণ্টা বর্ষণ চলবে। পাশাপাশি সিকিম থেকে ছত্তীসগঢ় পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা অবস্থান করছে। নিম্নচাপ অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে অক্ষরেখাটি যাওয়ায় দুর্যোগ এত শক্তিশালী হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ‘‘আগামী দু’দিন পূর্ব দিকেই নিম্নচাপের অভিমুখ থাকবে। বৃষ্টি চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। তবে শুক্রবার বিকেল থেকেই বৃষ্টির পরিমাণ কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।