সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

আক্কেল দাঁত থার্ড মোলার দাঁত নামেও পরিচিত। আমাদের মুখের একদম পিছনের দিকে থাকে এই দাঁত। সাধারণত কিশোর বয়সের শেষের দিকে দেখা যায়। দেখা গিয়েছে, ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৮ থেকে ২০ বছর এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৭ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে আক্কেল দাঁত এসে হাজির হয়। কিছু আক্কেল দাঁত আবার সম্পূর্ণরূপে বের হয় না। পাশের দাঁত বা হাড়ের সঙ্গে আটকে যায়। এর ফলে প্রায়শই আমাদের দাঁতের মাড়ি এবং হাড়ের মধ্যে সংক্রমণ হয়। সেই সঙ্গে অসহ্য যন্ত্রণা হতে পারে।
আক্কেল দাঁত যখন ধীরে ধীরে বেরতে শুরু করে, তখন থেকেই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যাতে ওই জায়গাটা পরিষ্কার থাকে। ভালো করে ব্রাশ করার পাশাপাশি ঈষদুষ্ণ জলে নুন দিয়ে কুলি করলে তা মুখের মধ্যে অ্যান্টিসেপটিকের কাজও করবে। খেয়াল রাখতে হবে আক্কেল দাঁত ও তার পাশের দাঁতের মধ্যে যেন কোনওভাবেই ময়লা বা খাবার না জমে থাকে।
আরও পড়ুন:

দাঁতে ব্রাশ ঠেকাতেই মাড়ি থেকে রক্ত পড়ছে? কী করবেন? দেখুন ভিডিয়ো

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৪৯: অনেক যতনে ‘বড়দিদি’-র পর্ব রাখিনু সেথা

 

একাধিক কারণেই আক্কেল দাঁত তুলতে হয়

নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁত না ওঠা।
মাড়িতে বারবার সংক্রমণ হওয়া।
দাঁতের ক্ষয়।
সিস্ট বা অন্যান্য চোয়ালের সমস্যা হওয়া।
খাবার গিলতে সমস্যা।
মুখের বাকি দাঁত যাতে সঠিক জায়গায় উঠতে পারে তার জন্য জায়গা তৈরি করা।
এছাড়াও ক্ষেত্র বিশেষে বিভিন্ন কারণের জন্য আমরা আক্কেল দাঁত তুলে থাকি।

আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১৬: সুন্দরবনের লৌকিক দেবতা পঞ্চানন্দ বা বাবাঠাকুর

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩৯: খাবারে একদম মশলা নয়?

আক্কেল দাঁতে ব্যথা শুরু হলে একজন ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জেন বা একজন দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। ব্যথার কারণ খোঁজার পাশাপাশি চোয়ালের হাড়ের মধ্যে কোনও সংক্রমণ হচ্ছে কিনা, তা দেখার জন্য বেশিরভাগ সময়েই এক্স-রে করার দরকার হয়ে থাকে। ডাক্তারবাবু যদি মনে করেন, আক্কেল দাঁতটি তুলে ফেলাই ভালো সেক্ষেত্রে অহেতুক এটি রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। আক্কেল দাঁত ছাড়া যদি আপনার বাকি চিবোনোর দাঁত (পেষক) ঠিক থাকে সেক্ষেত্রে খেতে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
আরও পড়ুন:

পরিযায়ী মন, পর্ব-৮: চোখিধানির জগৎখানি

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৩১: দিল লেনা খেল হ্যায় দিলদার কা…

সবশেষে এটা কথা মনে রাখা দরকার, ব্যথা শুরু হলে দেরি না করে ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নিতে হবে। কোনও ভাবেই সংক্রমণ বাড়তে না দেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

যোগাযোগ: ৯৪৭৭৩২০১৭২
* ডাঃ সুপ্রতিম মণ্ডল, ওরাল ও ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জেন।

Skip to content