ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।
জাতীয় পুষ্টি মাস একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি, যা প্রত্যেক বছর আমাদের দেশব্যাপী সেপ্টেম্বর মাসে উদযাপিত হয়। এটি একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর মূল উদ্দেশ্যে, জনসাধারণের মধ্যে পুষ্টি, খাদ্য ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা ও জনমত গড়ে তোলা।
১৯৮২ সাল থেকেই ভারত সরকার এ ধরনের পদক্ষেপ করা শুরু করেছিল। পরে ক্রমশ তা জনপ্রিয়তা লাভ করে। বর্তমান সময়ের পুষ্টির গুরুত্বের নিরিখে এটির প্রয়োজনীয়তা আরও অনেকগুণ বেড়ে গিয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে এর উত্তরোত্তর গুরুত্ব বৃদ্ধির কারণে কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহকে জাতীয় পুষ্টি মাসে পরিণত করেছে। সেই সময় থেকে সেপ্টেম্বর ১ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নানা বিধ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালন করা হয়।
১৯৮২ সাল থেকেই ভারত সরকার এ ধরনের পদক্ষেপ করা শুরু করেছিল। পরে ক্রমশ তা জনপ্রিয়তা লাভ করে। বর্তমান সময়ের পুষ্টির গুরুত্বের নিরিখে এটির প্রয়োজনীয়তা আরও অনেকগুণ বেড়ে গিয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে এর উত্তরোত্তর গুরুত্ব বৃদ্ধির কারণে কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহকে জাতীয় পুষ্টি মাসে পরিণত করেছে। সেই সময় থেকে সেপ্টেম্বর ১ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নানা বিধ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালন করা হয়।
প্রত্যেক বছরই নানান রকম ভাবনা বা থিমের ওপরে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এ বছরেও সেই অনুযায়ী ভারত সরকারের মহিলা ও শিশু মন্ত্রক থেকে কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। চলতি বছরের থিম ‘সুপোষিত ভারত, সাক্ষর ভারত, সশক্ত ভারত’।
প্রত্যেক বছরের কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য থাকে পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে আমজনতাকে বেশি করে সচেতন করে তোলা, প্রাত্যহিক জীবনে পুষ্টির গুরুত্ব যা মানুষকে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন দিতে এবং রোগ প্রতিরোধে সক্ষম সেই বিষয়ে বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান বা কর্মসূচি গ্রহণ করা।
প্রত্যেক বছরের কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য থাকে পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে আমজনতাকে বেশি করে সচেতন করে তোলা, প্রাত্যহিক জীবনে পুষ্টির গুরুত্ব যা মানুষকে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন দিতে এবং রোগ প্রতিরোধে সক্ষম সেই বিষয়ে বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান বা কর্মসূচি গ্রহণ করা।
আরও পড়ুন:
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৪৭: সে কোন প্রভাতে হইল মোর সাধের ‘নবজন্ম’
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১৩: সুন্দরবনের গ্রামরক্ষক দেবতা আটেশ্বর
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩৬: গলা সাধলেই লতাকণ্ঠী?
এ বারের মূল ভাবনা
আরও পড়ুন:
ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-১৫: একটাই ডেনজার জুজু যদি ধরে
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৭২: রবীন্দ্রনাথ প্রয়োজনে কঠোর হতেও পারতেন
ইতিহাস কথা কও, কোচবিহারের রাজকাহিনি, পর্ব-৯: রাজবাড়ির সান্নিধ্যে নারীর উড়ান
উপরোক্ত বিষয়গুলিতে কর্মসূচি গ্রহণের জন্য পুষ্টি ও স্বাস্থ্যের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন মানুষজনকে একত্রে বিভিন্ন রকম কর্মকাণ্ডের প্রয়াস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে। তবে এই বছরের কর্মসূচিতে গ্রাম পঞ্চায়েতের সক্রিয় অংশগ্রহণকে বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সমাজের তৃণমূল স্তর থেকেই প্রয়োজনীয় সচেতনতা ও জনমত গড়ে তোলার পদক্ষেপ করা সম্ভব পর। এই সময়কালে স্বাস্থ্যকেন্দ্র যেমন—হাসপাতাল, নার্সিংহোমে, শিক্ষা ক্ষেত্রে যুক্ত পুষ্টিবিদ, শিক্ষক-শিক্ষিকা বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি যেমন আলোচনাচক্র বা সেমিনার কর্মশালা অন্যান্য অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন:
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-১০: দশমহাবিদ্যা ও ঠাকুরের কালীভাবনা…
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৭২: প্রজননক্ষম মাছের চাষে মুনাফা ভালো, তবে কোন কোন বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে?
যে উপদেশ গিয়েছি ভুলে…,
ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্য, মহিলা ও শিশু কল্যাণ বিভাগ এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা সক্রিয় চেষ্টা এই উদ্দেশ্য সাধনে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে। জাতীয় পুষ্টি মাস সর্বস্তরে পালনের মাধ্যমে সার্বিকভাবে মানুষের মধ্যে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের তথ্য পৌঁছে দেওয়া এবং তাদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার প্রচেষ্টা ও সেই সংক্রান্ত সফলতা এই ধরনের অনুষ্ঠানের অন্যতম সার্থকতা।
* পল্লবী মজুমদার, অধ্যাপিকা, পুষ্টি বিভাগ, আসানসোল গার্লস কলেজ।