দেওতাপাড়া শিব মন্দির।
এখনকার মন্দির পরিচালন কমিটির তত্ত্বাবধানে এই অত্ত্যুৎকৃষ্ট স্থাপত্যকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর ফাল্গুন মাসে শিবরাত্রি পর্বকে উপলক্ষ করে দু’দিনব্যাপী মেলার আয়োজন হয়। মেলাকে কেন্দ্র করে এখানে প্রচুর ভক্ত সমাগম ঘটে। পাশাপাশি সুপ্রাচীন প্রথার সঙ্গে সাযুজ্য রক্ষা করে অন্যান্য বেশ কিছু কোচস্থাপত্যের ন্যায় এখানেও বলিপ্রথার প্রচলন রয়েছে। রাজ আমল থেকেই বিভিন্ন বিশেষ তিথিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রাণীর (যেমন: পাঠা, পায়রা, খাসি ইত্যাদি) বলিপ্রথা সাড়ম্বরে পালিত হয় এবং সেই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জনজোয়ারও ঘটে।
নামকরণের প্রেক্ষাপট
স্থানীয় জনশ্রুতি, এই সমস্ত নব্য আগত ব্রাহ্মণদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন অমরনাথ ভট্টাচার্য দেওতা, যিনি এই গ্রামে বসবাস করতেন। ইনি খুব উচ্চমার্গের একজন তপস্বী ছিলেন। তাঁর মধ্যে কিছু অতিপ্রকৃত ঐশ্বরিক শক্তি নিহিত ছিল বলেই হয়তো তাঁকে দেওতা বলা হতো। খুব সম্ভবত তপস্যাকর্মের সুবিধার জন্যই সর্বপ্রথম অমরনাথ ভট্টাচার্য কর্তৃক এখানে শিবমন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলেই হয়তো এই সৌধটি দেওতাপাড়া শিব মন্দির নামে পরিচিত।
মন্দিরময় উত্তরবঙ্গ, পর্ব-৩: কোচ কামতেশ্বরী মন্দিরের স্থাপত্য এক অনন্যসাধারণ মিশ্রশৈলীর উদাহরণ
ইতিহাস কথা কও, কোচবিহারের রাজকাহিনি, পর্ব-৭: প্রকৃত শাসক মহারাজ, একটি রাজ্যের আলোয় উত্তরণ
স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য
শিবলিঙ্গের ঠিক পশ্চাতেই প্রায় ৪ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট একটি নাতিক্ষুদ্র ত্রিভুজাকৃতি মন্দিরসদৃশ ত্রিশূলশোভিত ও ক্ষুদ্রকায় অর্ধবৃত্তাকার কুলুঙ্গিযুক্ত সৌধব্লক চোখে পড়ল, যা এই অঞ্চলের গর্ভগৃহের অভ্যন্তর স্থাপত্যে এক বিরল বৈশিষ্ট্য। পাশাপাশি যেটি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথা বিস্ময় উদ্রেককারী স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য বলে মনে হয়েছে, সেটি হল এই সৌধব্লকের পশ্চাতে গর্ভগৃহের উত্তরদিকস্থ দেওয়ালে প্রায় ৬.৫ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট মিহরাব-এর উপস্থিতি। যেটি এই অঞ্চলের স্থাপত্যে পুনরায় মুরিশ স্থাপত্যশৈলীর প্রভাবকে সুনিশ্চিত করে।
যত মত, তত পথ, পর্ব-৩: আদর্শ শিক্ষক শ্রীরামকৃষ্ণ
অমর শিল্পী তুমি, পর্ব-8: চলতি কা নাম কিশোর
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-২৬: অবশেষে চার হাত এক হল, পঞ্চম-আশা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে শুরু করলেন দ্বিতীয় ইনিংস
বিশ্বসেরাদের প্রথম গোল, পর্ব-১০: রেমন্ড কোপা এক কিংবদন্তি ফুটবল বাদশা
নির্মাণকাল
মূল শিবলিঙ্গ পশ্চাতে ক্ষুদ্রায়তন সৌধব্লক ও মিহরাব। উচ্চতা প্রায় ৬.৫ ফুট।
ছবি: লেখক।