সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪


সোনম কাপুর ও সারা আলি খান। ছবি: সংগৃহীত।

তারকা থেকে সাধারণ মানুষ, আজকাল বহু মহিলাই পিসিওডি-র শিকার হচ্ছেন। সারা আলি খানের ছিপছিপে চেহারা অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা হলেও বড় পর্দায় অভিষেকের আগে অভিনেত্রীর ওজন ছিল ৯৬ কেজি! অনেক পরিশ্রম ও নিয়ম মেনে চলার পরে ওজন কমেছে নায়িকার। পরে জানা যায়, সারার এই ওজন বেড়ে যাওয়ার মূলে ছিল ‘পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম’ বা পিসিওডি। এই একই সমস্যায় ভুগছেন অভিনেত্রী সোনম কাপুরও।
হালের সমীক্ষা বলছে, প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে এক জন ভারতীয় মহিলা ‘পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম’ বা পিসিওডি রোগের শিকার হচ্ছেন। পিসিওডি-কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতেই হবে। কারণ, নিজেকে কড়া নিয়মে বাঁধতে না রাখতে পারলে পিসিওডি-কে এড়ানো কার্যত সম্ভব নয়। এ নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ তো নিতেই হবে। সেই সঙ্গে দৈনন্দিন খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্ক হতে হবে। নিত্যদিনের খাদ্যাভ্যাসে কী ধরনের পরিবর্তন আনলে পিসিওডি-কে এড়িয়ে সুস্থ থাকা সম্ভব?
আরও পড়ুন:

বিধানে বেদ-আয়ুর্বেদ: মুখের রুচি চলে গিয়েছে? আয়ুর্বেদ উপায়ে অরুচি দূর করবেন কী ভাবে?

বিচিত্রের বৈচিত্র: তুমি অধম বলিয়া আমি উত্তম…

 

পিসিওডি-র সমস্যায় কী কী খাবার বেশি করে খাবেন?

 

গ্লুটেনমুক্ত খাবার

গ্লুটেনমুক্ত খাবার খেলেও উপকার মিলবে। এ ক্ষেত্রে পিসিওডি-র বাড়বাড়ন্ত রুখতে গ্লুটেনমুক্ত মিলেট খাওয়া যেতে পারে। প্রতিদিনের ডায়েটে পিসিওডির রোগীরা নিশ্চিন্তে এই খাবার রাখতে পারেন। এমন সমস্যায় সাবুদানাও খাওয়া যেতে পারে। কারণ এটিও গ্লুটেনমুক্ত।
 

প্রোটিনে জোর দিন

পিসিওডি-র সমস্যা এড়াতে প্রোটিন জাতীয় খাওয়ারে জোর দিন। জানলে ভালো, আমাদের শরীরে যখন প্রোটিনের ঘাটতি দেখা যায়, তখনই পিসিওডির সমস্যা বড়সড় আকার ধারণ করতে থাকে। তাই সেই ঝুঁকি কমাতে পাতে রাখুন প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার। এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা। এ সময় ডিম, ডাল, সয়াবিন, মাছ, মাংস জাতীয় খাবার খেতে পারলে ভালো।
 

হলুদ

হলুদে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান রয়েছে এটা তো সবারই জানা। পিসিওডি-কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই হলুদ কিন্তু খুবই কার্যকরী ভূমিকা নেয়। তাই নিয়মিত খালি পেটে কাঁচা হলুদ খান, উপকার পাবেন।

আরও পড়ুন:

হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৬: মজল আঁখি মজেছে মন, ইমোজি তোদের ডাকল যখন

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬: নাম দিয়ে যায় চেনা

 

পিসিওডি-র সমস্যা এড়েতে কী কী খাবার খাবেন না?

 

রেড মিট

স্বাস্থ্যের কথা ভেবে রেড মিট থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। কারণ রেড মিট একেবারেই সহজপাচ্য খাবার নয়। পিসিওডি থাকলে এমনিতেই হজমের সমস্যা বাড়ে। তাই পিসিওডি-র সমস্যা থাকলে এমন খাবার খাওয়া খেতে হবে, যা সহজে হজম হয়ে যায়।
 

নুন খাওয়া কমাতে হবে

যতটা সম্ভব নুন খাওয়ার পরিমাণ কমান। অনেকেই হয়টো জানে না, নুন পিসিওডির রোগীদের বেশ ক্ষতিকর। এ জন্য রান্নায় যতটা সম্ভব কম নুন ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। সেই সঙ্গে কাঁচা নুন এড়িয়ে চলতে হবে।
 

ফ্যাট জাতীয় খাবার

পিসিওডি-র সমস্যা এড়াতে ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়াতেই হবে। খেয়াল রাখতে হবে স্যাচুরেটেড ফ্যাট যাতে শরীরে কম পরিমাণে যায়। তা না হলে পিসিওডির রোগীদের সমস্যা বাড়বে। তাই মাখন ও চকোলেট জাতীয় খাবার বুঝেশুনে খেতে হবে, কারণ এতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফ্যাট থাকে।


Skip to content