রবিবার ১০ নভেম্বর, ২০২৪


অলঙ্করণ: লেখক।

শোনা গিয়েছে, শিবের ছোটবেলা বলে কিছু ছিল না। তিনি স্বয়ম্ভূ। এসেছেন, দেখেছেন, জয় করেছেন। এদিকে কবি বলে রেখেছেন, শিশু ভোলানাথ। অর্থাৎ শিশুরা ভোলেবাবার মতোই আশুতোষ। এই সাইকেলের জন্য বায়না করছে, তো এই লেবেঞ্চুসে ভুলে যাচ্ছে বেমালুম। রবীন্দ্রনাথও এই তত্ত্বে বিশ্বাসী ছিলেন।

“সঞ্জীবকে বলে দেব, তোমার জন্য মিষ্টি লজঞ্জুস এনে দেবে” (সহজপাঠ, দ্বিতীয়ভাগ, নবম পাঠ)

সকলে সর্বদমন নয়, সে শুনেছিল সিংহশাবককে ছেড়ে দিলে তাকে খেলানা দেওয়া হবে, সে “কথায় ভোলাইবার ছেলে নয়”, তাই বিদ্যাসাগর লেখেন, মারীচাশ্রমের এক তাপসী অন্য তাপসীকে বলছেন, কুটিরে মাটির ময়ূর আছে, “ত্বরায় লইয়া আইস”, তো ময়ূর আনা হলে তাকে শকুন্তের লাবণ্য দেখতে বলা হল, বালক মাতৃনাম শ্রবণ করলো তার মধ্যেই—শকুন্তলা! শকুন্তেন লাতি ইতি শকুন্তলা, পাখির দ্বারা রক্ষিত, পরিপালিত। শকুন্তলার কাহিনির গোড়ার কথা এসব। বালক জানতে চাইল “আমার মা কোথায়?”

সত্যজিৎ রায়ের রয়্যাল বেঙ্গল রহস্যে ফেলুদাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, সব থেকে সরল মানুষের মনও একটা বাঘের থেকে জটিল। সমস্যা হল—এটাই যে আমাদের চারপাশে যাঁরা ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত, তারা সকলেই সকল বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। লোকাল ট্রেন থেকে চায়ের দোকান, ক্যাফে থেকে ঠেক, গলি থেকে রাজপথে যাঁরা নিত্যদিন ওঠাবসা করছেন তাঁরা কেউই কৌতূহলী অনুসন্ধিত্সু নন, প্রাজ্ঞ। সমস্যা এটাও যে, প্রত্যেকেই একদা শিশু ছিলেন। সুতরাং, শিশুমনস্তত্ত্ব তাঁদের করায়ত্ত্ব। বাচ্চা, পাকা, ক্যাবলা, জ্যাঠা ইত্যাদি উপাধি নাবালকদের জন্য বরাদ্দ। এই শিশু-কিশোর-বালকদের সঙ্গে অপরিণতি যেন আঠার মতো লেগে থাকে।

এমনকি আঠারো বছর পেরোলেও ক্ষেত্র বিশেষে এইসব অভিধা ‘বড়দের’ অভিধান থেকে খসে না। শৈশব মানেই পেলব কোমল ক্যাবলামির এক জগৎ যেন, যেটা অন্তর-নিরপেক্ষ এক জড় দুনিয়া, যার ভিত্তিতে বুঝি “ওরা কিছু বোঝে না” বলে অবদমনের বীজমন্ত্র। কবিরা মাঝে মাঝে বলে থাকেন, “খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে।” কিন্তু সহৃদয় সামাজিকগণ ঈশ্বরতত্ত্বে যতো সহৃদয়, ওই “শিশুর খেলার”র প্রসঙ্গে তাঁরা খড়্গহস্ত হন।
এসব ক্যাবলামির কোনও মানে আছে? লেট’স স্টাডি। তারপর, এমনটাও হয়ে থাকে, সেই শিশু পড়ে পড়ে সবকিছু পণ্ড করার মতো ধীশক্তি অর্জন করল। তখন সমাজ তাকে পণ্ডিত বলল। অথচ, তার মা-বাবা-পিসি-মাসি-মামা-খুড়ো বলতে লাগলেন, যেবার ও সক্কলের মধ্যে প্রথম হল, সেবার ভাল ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দেয়নি বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। নইলে ওর মতো ক্যাবলা…
আবার, এমনও হলো যে—

না ভাই! আমার ছেলের এখন উঁচু ক্লাস, সঙ্গে মার্শাল আর্ট আর টেনিস, চারটে কোচিং সঙ্গে চেজ ক্লাস, আমার হাতে সময় কোথায়…

বাঃ বাঃ, তা ছেলের কোন ক্লাস?

এই তো এবার আপার নার্সারি হল। তো তোমার মেয়ের কী খবর?

খুব ব্যস্ত গো! সামনের সেপ্টেম্বর থেকেই স্কুলে যাবে। এখন নিঃশ্বাস ফেলার সময় নেই একদম। তার ওপর সিরিয়ালের অডিশন আর গানের ক্লাস, তোমার ছেলের তো তবুও খেলার সময় আছে।

সত্যি! চিন্তায় চুল খাড়া হয়ে ওঠে বটে।

হবুচন্দ্র রাজা একবার একটি প্রাণী চিনতে না পেরে মন্ত্রী গবুচন্দ্রের কাছে জানতে চাইলেন। গবু জানালেন, সেটি রাজশালার হাতি, না খেতে পেয়ে একটু ছোট হয়ে গিয়েছে, তার শুঁড়টি বিশেষ করে একদম অস্তিত্ব হারিয়েছে বলেই এরকম দেখাচ্ছে। এই সেই গবুচন্দ্র, যিনি আমারও ছিল মনে, কেমনে বেটা পেরেছে সেটা জানতে’ বলে জুতা আবিষ্কারের পুরো কৃতিত্ব নিয়ে চলে গিয়েছিলেন। যাইহোক, ওই প্রাণীটি ছিল শুকর। বাঘ-বেড়ালের সম্পর্কের মতো হাতির সঙ্গে দূরতর কোনও সম্পর্কেও সে আবদ্ধ নয়।

জাতকমালার কাহিনিতে দেখা যাবে, এক রাজা ফলার করতে বসেছেন। রানি পরিবেশন করছেন। রানি কী একটা ফল দেখিয়ে সেটি কি জানতে চাইলেন। এতেই রাজা বেজায় চটে গিয়ে রানিকে তাড়িয়ে দিলেন। এই রানি যেদিন পথে আম বিক্রি করতেন রানি হয়ে তাকে ভুললেন কেমন করে?
আরও পড়ুন:

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-৩: গায়ে আমার পুলক লাগে

বৈষম্যের বিরোধ-জবানি, পর্ব-২৫: অম্বুবাচী থেকে স্ত্রীর রজস্বলার লড়াই—সবই উৎপাদন কেন্দ্রিক!

এইসব ছোটখাট বিষয় ‘ক্যাবলামি’ অর্থাৎ বোকামির আখ্যা পেলেও, এ বিষয় অতি উচ্চমার্গীয়। কাকে ক্যাবলামি বা বোকামি বলা যাবে, কাকে নয় তা বলা কঠিন, বোঝা কঠিনতর। বুদ্ধদেব সেই বৃদ্ধাকে বলেছিলেন যে গৃহে মৃত্যু প্রবেশ করেনি, সেখান থেকে একমুষ্টি সর্ষপ নিয়ে আসতে। অথচ, এই ছোট্ট ব্যাপারটাই চোখে সর্ষেফুল দেখানোর মতো। তেমনি ভাবেই কারা ক্যাবলা, ক্যাবলা মানেই কি বোকা, বোকা বলতে কী বোঝায়, যারা বোকা নয় তারা কি চালাক, ধূর্ত নাকি সেয়ানা, বুদ্ধিমান ও চালাক কি একজাতীয়, বোকাদের কি সত্যি হট্ট থেকে হট্টান্তরে বিকিয়ে দেওয়া যায়, আমজনতা কি বোকা না চালাক, সেযুগের বাচ্চা আর একালের ছোটরা কি এক আছে ইত্যাদি ইত্যাদি বুঝে উঠতে গেলে খড়ের গাদায় সূঁচ খুঁজতে হয়। তবে উপনিষদ বলেছেন, “উত্তিষ্ঠত জাগ্রত প্রাপ্য বরান্ নিবোধত”, সুতরাং, শিব্রামের সঙ্গে হর্ষবর্ধনের মতো বাসে উঠে পড়লেই হয় কলকাতার হালচাল জানতে!

এঁরা নেহাত শিশু নন, বলাই বাহুল্য। কলকাতায় নিজের জন্য গাড়ি রিজার্ভ করা যায়, জানা ছিল হর্ষবর্ধনের। ভাই গোবর্ধনকে নিয়ে তিনি সেই গাড়ি ভেবে উঠে পড়লেন সরকারি দোতলা মোটর বাসে। এই গোবর্ধনকে তবু অপরিপক্বের তালিকায় রাখা যায়। তো ওই বাসকে তাঁরা একান্ত আপন ভাবলেও লোক উঠতে থাকল।

এ গাড়ি তাঁদেরই, তাই সাধ্যমত আপ্যায়ন করতে থাকলেন যাত্রীদের। ভাড়া তিনিই দেবেন। কলকাতায় যেমন করে হোক, যত কিসিমের হোক, বেশি বেশি খরচ করতেই হবে। এটাই তাঁদের মূলমন্ত্র। তাঁরা যাবেন ভবানীপুর। কিন্তু বাস যাবে অনেকদূর। তাই অগত্যা নামতেই হল নিজের মোটরগাড়ি থেকে। তার আগে বাসে ধাপে ধাপে ওঠা তরুণী, বৃদ্ধ ইত্যাদি আপামর জনগনের টিকিটের দায় নিয়ে ও কন্ডাক্টরকে বাড়ির ঠিকানা দিয়ে নিজের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন তাঁরা।

ইতোমধ্যে বাসে উঠেছে পৃথিবীর সবথেকে সুখী মানুষ চিনাম্যান, তাঁর টাকা কামানোর চিন্তা ছাড়া গোঁফ-দাড়ি কামানোর চিন্তা নেই, হয়তো আর কিছুক্ষণ থাকলে সাহেব মেম-ও দেখা যেত। কিন্তু পৃথিবীর মতো একসময় গাড়িও ছাড়তে হয়, মানুষ পৃথিবীকে নিজের ভেবে তার থেকে নিয়েই চলেছে, কিন্তু এই ভ্রাতৃযুগল তো দিয়েও সন্তুষ্ট নন, অতি অল্প হইল এই ভেবেই বিশেষ চিন্তাকুল।

এ ভাবে উঠতে উঠতে নামতে নামতে ভাবতে ভাবতেই ক্যাবলাদের ছোটবেলা বড়বেলা কাটলেও ক্যাবলামি কাটে কই!! সিধু জ্যাঠার মতো অক্লেশে ‘আমি কিছু করলে অনেকেরই আর কিছু করার থাকতো না, তাই আমি কিছু করিনি’ জাতীয় কথা বলার মতো বুকের পাটা ক’জনের থাকে!!
আরও পড়ুন:

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-১০: রাজার আশপাশে থাকা দুষ্ট লোকেদের অতিক্রম করে তাঁর কাছ পর্যন্ত পৌঁছনোর পথ খুবই দুর্গম

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১৯: কেস জন্ডিস

বেশ বোঝা যায়, স্থান-কাল-বয়স নিরপেক্ষে মানুষ এমন কিছু আচরণ করে থাকে যা তার স্বভাবগত অথবা তার বিপরীত, তা সমাজের চোখে বিসদৃশ বা কিছুটা অসঙ্গতিপূর্ণ, যা থেকে বিস্ময়, হাস্য ও ক্রোধ জন্মাতে পারে; ইতরবিশেষে এইসব আচরণগুলিকে ক্যাবলামি বলা যায়, তবে এই অন্যায্য আচরণে কিছু স্খলনের ভাব থাকতে হবে, এটাই শর্ত। যেমন, ব্যক্তিত্বের অবনমন অথবা বৌদ্ধিক অপরিপক্বতার পাশাপাশি আত্মাবমাননাকর কাজকর্ম, নিদেনপক্ষে সামাজিকভাবে নিজেকে হাস্যাস্পদ করার একটা সচেতন বা অচেতন প্রয়াস পরিমাণ মতো পাগলামির মিশেলে ক্যাবলামির মধ্যে থাকবে।

প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা দেখেছি, পারস্পরিক আলাপে একপক্ষ যদি বলবান হয়, আর বিপরীতের মানুষটির বক্তব্য সত্যাসত্য যাই হোক না কেন, তা যদি প্রতিপক্ষের সামাজিক- রাজনৈতিক-ধর্মীয়-আর্থিক-সারস্বত বোধ, অহং, স্বার্থ ও ধারণার জগতে কিছু আঘাত করে, তবে সে নিমেষেই ‘ক্যাবলা’ হয়ে উঠতেই পারে… বলা বাহুল্য, আপোসেই এদের ক্যাবলামির অপবাদ ঘোচে… যেমন হাবুল সেনকে বলতে শোনা যায় “ছাড়ান দাও টেনিদা! পোলাপান!

এটিই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে, ছোট হলেই তাকে ছোট করা যায়। অতি সহজেই করা যায়। এই ছোট বলতে কাদের বুঝতে হবে?

ন্যায়দর্শনের তর্কসংগ্রহ গ্রন্থে বলা হচ্ছে, “বালানাং সুখবোধায় ক্রিয়তে তর্কসংগ্রহঃ”, বাল অর্থাৎ বয়ঃক্রমের বিচারে ক্ষুদ্র না হলেও জ্ঞান, বোধ, ধারণা ও গ্রহণশক্তির সাপেক্ষেও যদি হয়, তবে তারাও বালক। অর্থাৎ আজকের পরিভাষায় Beginner…
শিবের কথা হচ্ছিল না? যার মধ্যে জগতের লয়, যিনি নিজে কল্যাণময় শান্তিস্বরূপ তিনি ‘বালককে’ সামলাতে পারেন?
আরও পড়ুন:

বিশ্বসেরাদের প্রথম গোল, পর্ব-৪: সত্তরের হীরের টুকরো

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১: সুন্দরবনের শেকড়ের খোঁজে

“ভালো ফ্যাসাদ হল দেখছি!’ মহাদেব নিজের জটাজূট চুলকোন। ছেলেরা কী চাইতে পারে, কী তাদের চাওয়ানো যায়, কিছুই তিনি ভেবে পান না।

নিজের ছেলেবেলায় কী সাধ ছিল তাঁর? তাও কিছু তাঁর স্মরণ নেই এখন। সেই সুদূর অতীত বাল্যকালের কথা তাঁর মনেই পড়ে না আর। কবে যে তিনি দুগ্ধপোষ্য বালক ছিলেন, আদৌ ছিলেন কি না কখনও কিছুই তাঁর ঠাওর হয় না”

হঠাৎ শিবঠাকুর আবির্ভূত হলেন কেন? টাপুর-টুপুর বৃষ্টি পড়ে নদে বান এল বুঝি?
“শিবের মাথায় চড়ে দাঁড়াবার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটল সেই অঘটনটা!

স্বয়ং শিবঠাকুর তার সম্মুখে আবির্ভূত! মুক্তিপদর পদক্ষেপেই দেবাদিদেব মুক্তি পেলেন নাকি?

“বৎস, তোমার ভক্তিতে আমি প্রীত হয়েছি, তুমি বর প্রার্থনা করো।”

লেখক শিব্রাম চক্কোত্তি। গল্পের নাম লাভের বেলায় ঘণ্টা। ক্যাবলাদের সমস্যা এই, তারা যা চায়, কার্য-কারণ ভুলেই চায়। মুক্তিপদ মুক্তি চায়নি মোটেই, চেয়েছে শিবের মাথার উপর ঝুলতে থাকা ঘণ্টাটা। পেয়েওছিল।

ক্যাবলাদের বোঝায় কে যে তাদের চাওয়া-পাওয়ায়, তারা যা বোঝে ও বোঝাতে চায়, তাতে সকলেরই ভারি আসে যায় আর কী! তাদের ভার ও বোঝা বয়ে চলা কখনও বা শিবের-ও অসাধ্যি! তাদের লাভের বেলায় ঘণ্টা! কখনও জোটে দু’পয়সার চানাচুরের শেষ গুঁড়োটুকুই বা। এতেই তাদের ‘ডি লা গ্রান্ডি’… —চলবে
* ক্যাবলাদের ছোটবেলা (kyablader-chotobela): লেখক: ড. অভিষেক ঘোষ (Abhishek Ghosh) সহকারী অধ্যাপক, বাগনান কলেজ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগ থেকে স্নাতকস্তরে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত। স্নাতকোত্তরের পর ইউজিসি নেট জুনিয়র এবং সিনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ পেয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগে সাড়ে তিন বছর পূর্ণসময়ের গবেষক হিসাবে যুক্ত ছিলেন। সাম্বপুরাণের সূর্য-সৌরধর্ম নিয়ে গবেষণা করে পিএইচ. ডি ডিগ্রি লাভ করেন। আগ্রহের বিষয় ভারতবিদ্যা, পুরাণসাহিত্য, সৌরধর্ম, অভিলেখ, লিপিবিদ্যা, প্রাচ্যদর্শন, সাহিত্যতত্ত্ব, চিত্রকলা, বাংলার ধ্রুপদী ও আধুনিক সাহিত্যসম্ভার। মৌলিক রসসিক্ত লেখালেখি মূলত: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়ে চলেছে বিভিন্ন জার্নাল ও সম্পাদিত গ্রন্থে। সাম্প্রতিক অতীতে ডিজিটাল আর্ট প্রদর্শিত হয়েছে আর্ট গ্যালারিতে, বিদেশেও নির্বাচিত হয়েছেন অনলাইন চিত্রপ্রদর্শনীতে। ফেসবুক পেজ, ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে নিয়মিত দর্শকের কাছে পৌঁছে দেন নিজের চিত্রকলা। এখানে একসঙ্গে হাতে তুলে নিয়েছেন কলম ও তুলি। লিখছেন রম্যরচনা, অলংকরণ করছেন একইসঙ্গে।

Skip to content