ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।
।।যুগের সঙ্কট।।
পুলিশ ভীষণভাবে পেশাদারী দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিল। এই ইতিহাস পরে নানা সময় নানা ভাবে শুনেছিলাম। এখন লেখার সময় বসে পরপর সাজিয়ে লিখে যাচ্ছি। কলকাতা থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খ খবর নেবার পর পুলিশ অমিতাভ-মনীষা সেনকে তাদের অজান্তেই নজরে রেখেছিল। কিন্তু জলপাইগুড়ির সেনপাড়া বা রানিনগরে তাদের গ্রেপ্তার করেনি। পুলিশ চেয়েছিল কলকাতায় তাদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এদের সঙ্গে সংযুক্ত আরও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করতে। ভোরবেলা শিয়ালদা স্টেশনে ফেরা থেকে, বাড়ি ঘুরে যে যার স্কুলে যাওয়া সবটাই পুলিশ সাদাপোশাকে সাধারণ অ্যাম্বাসাডার গাড়িতে করে নজর করেছে। কোথাও কোন পুলিশের গাড়ি পুলিশকর্মী নেই। যারা এই অপারেশনের যুক্ত ছিল তারা সবাই অচেনা মুখ। আগেই বলেছি আন্দোলনকারীদের মতোই, আন্দোলনদমনকারী পুলিশকর্মীরাও একটা জমে থাকা রাগ একটা জেদ থেকে এভাবে যন্ত্রের মতো কাজ করছিল।
দুই বাংলার উপন্যাস: বসুন্ধরা এবং, ২য় খণ্ড, পর্ব-১২: বাইরের দরজা ঠেলে দু’ জন মাঝবয়সী অচেনা লোক ঢুকে পড়লেন
অজানার সন্ধানে: মুছে যাক গ্লানি মুছে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা…
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৫১: সর্বত্র নিরবিচ্ছিন্ন প্রচার প্রয়োজন, তবেই বাড়বে মাছ নিয়ে সচেতনতা, উপকৃত হবে আমজনতা
ঠাম্মি তুমি এক কাজ করো। বাবাকে দাও। না হলে যদি বড়দা বা মেজদা থাকে। মা, না মাকে দিতে হবে না। সেজ বৌদি নেই?
সবাই এখানেই আছে ছোট্টু। বিনু আছে। বড় খোকা মেজখোকা স্বর্ণ সেজ নাতবউ সক্কলে আছে। তুই কি বলবি আমরা জানি। বিনুর কাছে লালবাজার থেকে ফোন এসেছিল।
ও তোমরা সব জানো। তো আমি এখন কি করবো?
তুই ধর আমি বিনুকে জিজ্ঞেস করি। বাবা যদি কথা বলতে চায়।
বসুন্ধরা বিনয়কান্তির দিকে তাকালো। এত বছর ধরে এত সংকট থেকে উতরে এসেছে বিনয়কান্তি। তার শরীরের প্রতিটি ভঙ্গি মুখের অভিব্যক্তি মনের মধ্যে চেপে রাখা ঝড় সবকিছুর সাক্ষী বসুন্ধরা। আগের সমস্ত সংকটের মুহূর্তে বসুন্ধরা পাশে ছিল তারপরে যোগ্য সহধর্মিণীর মতো স্বর্ণ রয়েছে বিনুর পাশেপাশে। এই মুহূর্তে বিনুকে বড় অসহায় লাগছে স্বর্ণর। সে বসুন্ধরার দিকে তাকায়। শান্তিলতার জীবনের দূর্ভাগ্যের জন্যে বিনয় আজও নিজেকে দায়ী করে। স্বর্ণ ভাবে ন’ছেলে তরুণকান্তি’র জীবনটা বোধহয় তারই জন্যে শেষ হয়ে গিয়েছে। বসুন্ধরা বলেন, এ সবই ভবিতব্য। কারও জন্যে কোনও ক্ষতি হয় না। বসুন্ধরার বাবা মুকুন্দ সেনগুপ্ত সৎ নির্বিরোধী শিক্ষক। কোনদিন কারও ক্ষতি করেননি। কিন্তু অকালে তাঁর স্ত্রীবিয়োগ হল কেন? মা-মরা মেয়েকে সুপাত্রস্থ করলেন। জামাতা শ্যামসুন্দর দেশান্তরি হল কেন? কেনই বা ১৯ বছর পর বসুন্ধরা তার স্বামীকে ফিরে পেল আবার ক’দিন রোগভোগের পর সর্বভূতে বিলীন হয়ে গেলেন শ্যামসুন্দর।
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১০: তত্ত্বতালাশ
বৈষম্যের বিরোধ-জবানি, পর্ব-১৫: অসুখের শরীর, সমাজের কাছে ভয় নারীর
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩১: মরুভূমির উপল পারে বনতলের ‘হ্রদ’
রোজ প্রাতরাশে ডিমের সঙ্গে কলা খাচ্ছেন? এর ফলে কী হচ্ছে জানেন
চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-১৫: সারদা দাদার থেকে চিল্পিঘাটি
হাত বাড়ালেই বনৌষধি: গরমে রক্ষাকবচ ‘টম্যাটো’
হ্যাঁ হ্যাঁ, ও বিনু, ছোট্টু!
এটুকু শুনেই বিনয়কান্তি মেজো ছেলে বিকাশকে বলে।
মেজখোকা ওকে বল যাদবপুর থানা থেকে ওদের নিয়ে লালবাজার বেরিয়ে গিয়েছে কিনা সেটা জেনে বাড়ি ফিরে আসতে। এতক্ষণে বেরিয়ে যাবার কথা। বড় খোকা বাবুর কাছে গাড়ি পাঠাও। ওঁকে তৈরি হয়ে আসতে বলেছি।
তারকবাবুর নামে ক্রিক রোয়ের মেসের ঘরে একটা ল্যান্ডলাইনের ব্যবস্থা করা ছিল। এই টেলিফোনেই অনেক সময় দিকভ্রান্ত বিনয়কান্তি বসুন্ধরা ভিলার কালপুরুষ বা অরিয়নের কাছে দিকনির্দেশ চাইতেন।
কমলকান্তি যাদবপুর থানায় খোঁজ নিয়ে আবার ফোন করে জানালো ওদের লালবাজারে পাঠানো হয়েছে। খবরটা পেয়েই বিনয় বসুন্ধরার দিকে তাকাল। বসুন্ধরা এ দৃষ্টির অর্থ জানে। স্বর্ণও জানে। বিনয়কান্তি এখন বসুন্ধরার সঙ্গে কথা বলতে চায় স্বর্ণ আর সকলকে নিয়ে ঘর থেকে চলে যাচ্ছিল বসুন্ধরা থামায়—
স্বর্ণ তুই দাঁড়া ।
ঘর খালি হতে স্বর্ণ বিনয়কান্তিকে নাতির সৌরভ এর ব্যাপারে কথা তোলার আগেই বিনয়কান্তি বললেন—
শান্তির শরীর এখন কেমন?
ওই খুব উৎকণ্ঠা করছে ওষুধের ফলে হাঁপানিটা একটু কমেছে।
তার মানে দুশ্চিন্তা কমলে শরীরটা সামলে নেবে?
কথাটা শুনে আশ্চর্য হয়ে স্বর্ণময়ী আর বসুন্ধরা পরস্পর পরস্পরের দিকে তাকায়
শান্তিকে একটা লম্বা মোটর জার্নির ধকল নিতে হবে। ওকে গিয়ে তৈরি হতে বল।
স্বর্ণ উৎকণ্ঠিত হয়ে বলে ওঠে, “এই অবস্থায় এতো রাতে মেয়েটা কোথায় যাবে?”—চলবে
ছবি: প্রতীকী। সৌজন্যে: সত্রাগ্নি
বসুন্ধরা এবং… ২য় খণ্ড/পর্ব-১৪
গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম
‘সময় আপডেটস’-এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন৷ বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন৷ ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না৷ গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে৷ ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com