ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
শীতকাল মানেই পিঠে পুলি পায়েস মিষ্টির সমাহার। নতুন গুড়ের গন্ধে মাতোয়ারা বাচ্চা থেকে বুড়ো—সবাই। পৌষ পার্বণ হোক বা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষ—কেক, পিঠে বা মিষ্টি ছাড়া তা অসম্পূর্ণ। কিন্তু এসবের মাঝে বাদ সাধতে পারে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ওবেসিটি ইত্যাদির মতো শারীরিক অসুস্থতা। রক্তে চিনির মাত্রা কম রাখতে বা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খেতে হয় এইসব রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের।
তাহলে কি পিঠে পুলি কেক মিষ্টি ছাড়াই উৎসব পালন করতে হবে? গুড়ের পায়েস, গুড়ের মিষ্টি তো আছেই তার সঙ্গে আছে দুধপুলি, চন্দ্রপুলি, পাটিসাপটা, সরাপিঠে, মালপোয়া ইত্যাদি রকমারি সব পিঠে। মূলত চালের গুঁড়ো, দুধ, গুঁড়ো দুধ, নলেন গুড়, নারকেল, খোয়া ক্ষীর ও চিনি দিয়েই তৈরি হয় বেশিরভাগ পিঠে।স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তি মাত্রেই জানেন এই উপাদানগুলির সব কটিরই ক্যালোরি ভ্যালু বেশ বেশি। অতএব এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। তবে আরও একটু সচেতন হলেই কিন্তু পিঠে পুলি উপভোগ করেও সুস্থ থাকা যায়।
মোটামুটিভাবে ১০০ গ্রাম চালের গুঁড়ো, ১০০ গ্রাম খেজুরের গুড়ের সঙ্গে ৫০ মিলি দুধ, একটি নারকেলের চার ভাগের এক ভাগ ও ২৫ গ্রাম চিনি ব্যবহার করে ২-৩টি পাটিসাপটা বানানো যায় যার থেকে পাওয়া যায় প্রায় ১০৫৫ কিলো ক্যালোরি।এ ছাড়াও থাকে ভালো পরিমাণে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস। জেনে নেওয়া যাক কীভাবে বিকল্প উপাদান ব্যবহার করে তা আরও একটু স্বাস্থ্য উপযোগী করে তোলা যায়। চিনির বদলে আর্টিফিসিয়াল সুইটেনার, ডাবল টোন্ড বা মাঠা তোলা দুধ, নারকেলের বদলে খোয়া ক্ষীর অনায়াসেই ব্যবহার করা যায়।
তাহলে দেখা যাক কীভাবে পিঠে পুলি খাদ্যতালিকায় রেখেও একটি স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যতালিকা মেনে চলা যায়—
শীতকালে একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তির খাদ্যতালিকা (১৬০০ কিলো ক্যালোরি):
সকাল ৬.৩০ মি. এক কাপ চিনি ছাড়া লিকার চা ও ২টি হাই ফাইবার বিস্কিট
প্রাতঃরাশ: ৩টি ব্রাউন ব্রেড বা ২টি আটার রুটি, ১ বাটি সবজি, ডিমসিদ্ধ ১টি৷
মাঝ সকাল: একটি মরশুমি ফল৷
দুপুর: স্যালাড ১ বাটি, ভাত ১ বাটি, মাছ/মুরগির ঝোল ১ বাটি (১০০ গ্রাম মাছ/ মুরগির মাংস), ১ বাটি সবজি, টকদই ছোট ১ বাটি৷
সন্ধ্যায়: পাটিসাপটা ২টি/চন্দ্রপুলি ৩-৪টি/গুড়ের পায়েস এক বাটি৷
রাতে: মুসুর ডাল-এর স্যুপ ১ বাটি, সবজির স্ট্যু ১ বাটি৷
তাহলে নতুন বছরে নিজেকে একটু নতুন গুড়ের উপহার দিতে তৈরি হতে পারেন সকলেই। ডায়াবেটিস হোক বা ওবেসিটি, পিঠে পুলি হোক সবার সাথী।
যোগাযোগ: ৮৯৬১৩৯২৫০৬
তাহলে কি পিঠে পুলি কেক মিষ্টি ছাড়াই উৎসব পালন করতে হবে? গুড়ের পায়েস, গুড়ের মিষ্টি তো আছেই তার সঙ্গে আছে দুধপুলি, চন্দ্রপুলি, পাটিসাপটা, সরাপিঠে, মালপোয়া ইত্যাদি রকমারি সব পিঠে। মূলত চালের গুঁড়ো, দুধ, গুঁড়ো দুধ, নলেন গুড়, নারকেল, খোয়া ক্ষীর ও চিনি দিয়েই তৈরি হয় বেশিরভাগ পিঠে।স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তি মাত্রেই জানেন এই উপাদানগুলির সব কটিরই ক্যালোরি ভ্যালু বেশ বেশি। অতএব এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। তবে আরও একটু সচেতন হলেই কিন্তু পিঠে পুলি উপভোগ করেও সুস্থ থাকা যায়।
মোটামুটিভাবে ১০০ গ্রাম চালের গুঁড়ো, ১০০ গ্রাম খেজুরের গুড়ের সঙ্গে ৫০ মিলি দুধ, একটি নারকেলের চার ভাগের এক ভাগ ও ২৫ গ্রাম চিনি ব্যবহার করে ২-৩টি পাটিসাপটা বানানো যায় যার থেকে পাওয়া যায় প্রায় ১০৫৫ কিলো ক্যালোরি।এ ছাড়াও থাকে ভালো পরিমাণে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস। জেনে নেওয়া যাক কীভাবে বিকল্প উপাদান ব্যবহার করে তা আরও একটু স্বাস্থ্য উপযোগী করে তোলা যায়। চিনির বদলে আর্টিফিসিয়াল সুইটেনার, ডাবল টোন্ড বা মাঠা তোলা দুধ, নারকেলের বদলে খোয়া ক্ষীর অনায়াসেই ব্যবহার করা যায়।
তাহলে দেখা যাক কীভাবে পিঠে পুলি খাদ্যতালিকায় রেখেও একটি স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যতালিকা মেনে চলা যায়—
শীতকালে একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তির খাদ্যতালিকা (১৬০০ কিলো ক্যালোরি):
সকাল ৬.৩০ মি. এক কাপ চিনি ছাড়া লিকার চা ও ২টি হাই ফাইবার বিস্কিট
প্রাতঃরাশ: ৩টি ব্রাউন ব্রেড বা ২টি আটার রুটি, ১ বাটি সবজি, ডিমসিদ্ধ ১টি৷
মাঝ সকাল: একটি মরশুমি ফল৷
দুপুর: স্যালাড ১ বাটি, ভাত ১ বাটি, মাছ/মুরগির ঝোল ১ বাটি (১০০ গ্রাম মাছ/ মুরগির মাংস), ১ বাটি সবজি, টকদই ছোট ১ বাটি৷
সন্ধ্যায়: পাটিসাপটা ২টি/চন্দ্রপুলি ৩-৪টি/গুড়ের পায়েস এক বাটি৷
রাতে: মুসুর ডাল-এর স্যুপ ১ বাটি, সবজির স্ট্যু ১ বাটি৷
তাহলে নতুন বছরে নিজেকে একটু নতুন গুড়ের উপহার দিতে তৈরি হতে পারেন সকলেই। ডায়াবেটিস হোক বা ওবেসিটি, পিঠে পুলি হোক সবার সাথী।
যোগাযোগ: ৮৯৬১৩৯২৫০৬